ভারতের ইনিংসের প্রথম দু’ওভারে ২ রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে এর থেকে খারাপ শুরু হতে পারে না। কিন্তু কোহলি ও রাহুল মিলে বদলে দিলেন ম্যাচের রং। সেই সঙ্গে ১৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে করে ফেললেন একাধিক নজিরও।
1/7 একেবারে জুটিতে লুটি। কেএল রাহুল এবং বিরাট কোহলির পার্টনারশিপে একেবারে জয়ধ্বজা ওড়াল ভারত। ২ রানে ৩ উইকেট থেকে এই জুটি ১৬৭-তে নিয়ে স্কোর। চতুর্থ উইকেট পড়ে ১৬৭ রানে। কোহলি-রাহুল মিলে করে ১৬৫ রানের পার্টনিরশিপ। আর সেই সঙ্গেই তারা গড়ে ফেলেন একাধিক নজির।
2/7 ভারতের হয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে চতুর্থ উইকেটে এটাই কোহলি-রাহুলের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের রেকর্ড। এর আগে ১৯৯৬ বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে চতুর্থ উইকেটে ১৪২ রান করেছিলেন নভজোৎ সিং সিধু এবং বিনোদ কাম্বলি। এদিন কোহলি-রাহুল মিলে সেই নজির ছাপিয়ে যান। গড়েন নতুন রেকর্ড।
4/7 এর আগে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে অজয় জাদেজা এবং রবিন সিং মিলে ১৪১ রানের পার্টনারশিপ করেছিলেন। এটাই ছিল এতদিন বিশ্বকাপে অজিদের বিরুদ্ধে পুরুষ টিমের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। সেই নজির এদিন ভাঙলেন কোহলি-রাহুল। এছাড়াও ২০১৯ বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা-শিখর ধাওয়ান মিলেও অজিদের বিরুদ্ধে করেছিলেন ১২৭ রানের পার্টনারশিপ।
5/7 অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২০০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত যখন ২ ওভারে ২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো কাঁপছে, সেই সময়ে দলের হাল ধরেছিলেন কোহলি এবং রাহুল মিলে। তখন শূন্য করে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন ইশান কিষাণ, রোহিত শর্মা, শ্রেয়স আইয়ার। এরপর অষ্টম ওভারে হেজেলউডের বলে বাজে শট খেলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন কোহলি। ব্যক্তিগত ১২ রানের মাথায় সুযোগ দিয়েছিলেন বিরাট। কিন্তু সেই ক্যাচ ফস্কান মিচেল মার্শ। অ্যালেক্স ক্যারির সঙ্গে বোঝাপড়ার অভাবে মহা মূল্যবান সুযোগ হাতছাড়া করেন। এখানেই ম্যাচ বেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার হাত থেকে।
6/7 কোহলি অষ্টম ওভারে আউট হলে ২০ রানে ৪ উইকেট পড়ে যেত ভারতের। চাপ বাড়ত টিম ইন্ডিয়ার উপর। ম্যাচের ফলও সেক্ষেত্রে অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু এর পর আর কোনও ভুলই করেননি রাহুল বা কোহলি। ৬টি চারের সাহায্যে ১১৬ বলে ৮৫ করে কোহলি যখন শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফিরে গেলেন, তখন দল প্রায় জয়ের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে।
7/7 সেই সময় উইকেট আঁকড়ে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন কেএল রাহুল। চোট থেকে ফিরেই এশিয়া কাপে শতরান করেছিলেন। এদিন দলের কঠিন সময়ে ব্যাট করতে নেমে ১১৫ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকলেন। একটুর জন্য শতরান হল না। বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংসে ছিল ২টি ছয়, ৮টি চার। ছক্কা হাঁকিয়ে দেশকে জয় এনে দেন রাহুল। অজিদের বিরুদ্ধে ৫২ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে বড় জয় ছিনিয়ে নিয়ে রানরেট অনেকটাই বাড়িয়ে রাখল ভারত।