গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর বুকে ভেঙে পড়ল ইসরোর স্যাটেলাইট কার্টোস্যাট-২। দীর্ঘ ১২ বছর মহাকাশে কাজ করেছে এই স্যাটেলাইটটি। এরর বিগত প্রায় ৫ বছর ধরে অকেজো অবস্থাতেই মহাকাশে ছিল সেটি। মহাকাশতে 'জঞ্জালমুক্ত' রাখার লক্ষ্য হিসেবে এই স্যাটেলাইটটিকে পৃথিবীতে ফেরানোর পরিকল্পনা করেছিল ইসরো।
1/5 কার্টোস্যাট-২ যে মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে এবং সেটি পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছে, সেই খবর নিশ্চিত করেছে ইসরো। ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি এই স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে মহাকাশ থেকে। দুপুর ৩টে ৪৮ মিনিট নাগাদ এটি ভারত মহাসাগরের ওপরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। বায়ণ্ডলেই এই স্যাটেলাইটের অধিকাংশ যন্ত্রাংশ ধ্বংস হয়। বাকি কিছু অংশ হয়ত আছড়ে পড়ে সমুদ্রে।
2/5 ২০০৭ সালে এই স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠিয়েছিল ইসরো। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এটি কার্যকর ছিল। এর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা মহাকাশ থেকে পৃথিবীর ছবি তুলে পাঠাত ইসরোকে। এরপর বিগত ৪-৫ বছর ধরে মহাকাশে অকেজো হয়েই ছিল এই স্যাটেলাইটটি। তবে মহাকাশকে জঞ্জালমুক্ত করার লক্ষ্যে এই অকেজো উপগ্রহটিকে পৃথিবীতে ফেরানোর পরিকল্পনা ছিল ইসরোর।
3/5 সেই মতো গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে কার্টোস্যাট-২ উপগ্রহটি। এই স্যাটেলাইটের অধিকাংশ যন্ত্রাংশ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময়ই জ্বলে-পুড়ে যাওয়ার কথা। ৬৮০ কেজির এই স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর থেকে ৬৩৫ কিমি উচ্চতায় মহাকাশের নির্দিষ্ট কক্ষপথে ছিল এতদিন।
4/5 ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই স্যাটেলাইটের পাঠানো ছবির ওপর ভিত্তি করে শহুরে এলাকার প্ল্যানিং করা হত। স্বাভাবিক ভাবে পৃথিবীতে ফিরতে কার্টোস্যাট ২-এর প্রায় ৩০ বছর সময় লাগার কথা ছিল। তবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ রীতি মেনে ভারত তার অনেক আগেই এই স্যাটেলাইটকে পৃথিবীতে ফেরাতে সক্ষম হয়েছে। স্যাটেলাইটে অবশিষ্ট জ্বালানি ব্যবহার করে এর কক্ষপথের উচ্চতা কমানো হয় ইসরোর তরফ থেকে।
5/5 উল্লেখ্য, ১০ সেন্টিমিটার বা তার থেকে বড় আকারের প্রায় ২৫ হাজার অকেজো যন্ত্রাংশ বর্তমানে পৃথিবীর কক্ষপথে রয়েছে। এর জেরে মহাকাশ ক্রমেই জঞ্জালে ভরে যাচ্ছে। এদিকে মহাকাশে ১ থেকে ১০ সেন্টিমিটারের আকারের ছোট যন্ত্রাংশের ধ্বংসাবশেষের সংখ্যা পাঁচ লাখেরও বেশি হবে। আর মহাকাশে থাকা ১ মিলিমাটার আকারের ক্ষুদ্র ধ্বংসাবশেষের সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি। এই সব ধ্বংসাবশেষের মোট ওজন হবে ৯ লাখ মেট্রিক টন।