সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে হয়েছে ৪২ শতাংশ। ডিএ বেড়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদেরও। তবে বর্তমানে তা ৬ শতাংশ। এই ফারাক মেটাতে এবার দিল্লির টিকিট কেটেছেন ৫০০ ডিএ আন্দোলনকারী। রাজ্য সরকারি কর্মীরা আগামী সপ্তাহে দু'দিন দিল্লিতে ধরনায় বসবেন। দুই দফায় রাজধানী গিয়ে পৌঁছবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।
1/5 আগামী ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লিতে গিয়ে ধরনায় বসবেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। এই সময়কালে কেন্দ্রের কাছে ডিএ বঞ্চনার কথা তুলে ধরবেন আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আবার ১১ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানিও হওয়ার কথা। এই আবহে দিল্লি থেকেই রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর ছক কষছেন সরকারি কর্মীরা।
2/5 জানা গিয়েছে, মোট ৫০০ জন সরকারি কর্মচারী দিল্লিতে গিয়ে ধরনা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। ৮ তারিখে ২০০ জন ও ৯ তারিখে ৩০০ সরকারি কর্মচারী ট্রেনে চেপে দিল্লি যাত্রা করবেন। সেখানে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে ডেপুটেশন দেবেন তাঁরা।
3/5 দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও দেখা করার কথা ডিএ আন্দোলনকারীদের। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির অফিস তাঁদের জন্য সময় বরাদ্দ করেছেন। এদিকে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও সময় দিয়েছেন সরকারি কর্মীদের। এছাড়াও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে দেখা করে তাদের ডিএ বঞ্চনার কথা তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে ডিএ আন্দোলনকারীদের।
4/5 বর্তমানে ৬ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এর আগে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৩ শতাংশ হারে ডিএ বাড়িয়েছিল মমতার সরকার। এরপর এবারের বাজেটে আরও ৩ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক বেড়েছে আরও। এই আবহে ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রাপ্য আরও ৩৬ শতাংশ ডিএ দিতে হবে রাজ্যকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিজেদের দাবিতে অনড়।
5/5 এদিকে ১০ ও ১১ তারিখের কর্মসূচির আগে, আজ রাজ্যে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। গতমাসে রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে ডিএ আন্দোলনকারীদের 'চোর-ডাকাত' আখ্যা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর প্রতিবাদেই আজ অফিসে গেলেও কাজে যোগ দেবেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। এদিকে মমতা অভিযোগ করেছিলেন, ডিএ আন্দোলনকারীরা চিরকুটে চাকরি পেয়েছিলেন। এই আবহে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পালটা চ্যালেঞ্জ, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ প্রমাণ করে দেখাক সরকার।