বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Justin Trudeau: দিল্লিতে আটকে পড়া ট্রুডোকে মোদীর বিমান দিতে চেয়েছিল ভারত, তবে তা নেননি কানাডার 'একগুঁয়ে' প্রধানমন্ত্রী
Justin Trudeau: দিল্লিতে আটকে পড়া ট্রুডোকে মোদীর বিমান দিতে চেয়েছিল ভারত, তবে তা নেননি কানাডার 'একগুঁয়ে' প্রধানমন্ত্রী Updated: 13 Sep 2023, 07:47 AM IST Abhijit Chowdhury দু'দিনের জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি এসেছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। তবে ফেরার সময় ঘটে বিপত্তি। তাঁর এয়ারবাস বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। যার জেরে মঙ্গলবার আর নিজের দেশে ফিরে যাওয়া হয়নি তাঁর। এই আবহে ভারতের তরফে তাঁকে এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে তা নাকি তিনি নিতে চাননি। 1/5 এয়ারবাস বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সূচির বাইরে আরও দু'দিন দিল্লিতে কাটাতে হয় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি গত সপ্তাহে দিল্লি এসেছিলেন। সোমবার তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে বিমান বিভ্রাটের জেরে তা হয়নি। সোমবার গোটা দিন দিল্লিতে থাকার পর মঙ্গলবারও দুপুর পর্যন্ত দিল্লিতেই বসে থাকতে হয়েছিল কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে। 2/5 এরই মধ্যে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থা থেকে ভারতের তরফে নাকি এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এই বিমানটি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বিমান। এটিকে 'উড়ন্ত তাজমহল' বলে ডাকা হয়। তবে জাস্টিন ট্রুডো নাকি ভারতীয় বিমানে চেপে কানাডায় ফিরে যেতে অস্বীকার করেন। তাঁর দলের তরফে জানানো হয়, তাঁদের বিমান ঠিক হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষা করবেন। 3/5 প্রসঙ্গত, বিমানে গোলযোগের কারণে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী দিল্লি ছাড়তে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই আবহে সোম ও মঙ্গলে হোটেলে বসেই সময় কাটান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির ললিত হোটেলে থাকছিলেন ট্রুডো। তাঁর সঙ্গে একই ঘরে ছিলেন তাঁর ছেলে জেভিয়ারও। তাছাড়া সেই হোটেলের আরও ৩০টি ঘরে ছিলেন ট্রুডোর কোর টিমের সদস্য এবং কানাডার সাংবাদিকরা। বিমানের সমস্যা মেটা পর্যন্ত হোটেলেই ছিলেন তাঁরা। 4/5 এদিকে জানা যায়, ভারত সরকার খুব একটা প্রসন্ন নয় জাস্টিন ট্রুডোর প্রতি। 'মত প্রকাশের স্বাধীনতা'র নামে যেভাবে খলিস্তানিদের কানাডা সরকার প্রশ্রয় দিচ্ছে, তা নিয়ে বারবার সরব হয়েছে দিল্লি। মনে করা হচ্ছে, ঘরোয়া রাজনীতির স্বার্থেই খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না জাস্টিন ট্রুডো সরকার। এমনকী দিল্লিতে মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরও কানাডার প্রধামন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছিল সেই আগের সুর। এই আবহে সোমবার গোটা দিন নাকি ভারত সরকারের কোনও পর্যায়ে ট্রুডোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। তবে ফাঁকে বিনান দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। 5/5 প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস ধরেই কানাডায় ভারত বিরোধী শক্তি বেশি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। খলিস্তানি আন্দোলনের নামে মন্দিরে মন্দিরে হামলা হয়েছে। এদিকে কানাডা সরকারকে এই নিয়ে বারবার সতর্ক করলেও ঘরোয়া রাজনীতির স্বার্থে এই নিয়ে নীরবতা পালন করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। তবে দিল্লিতে জি২০ বৈঠকের পর মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই নিয়ে কথা শুনতে হয় তাঁকে। অবশ্য তিনি তাঁর সরকারের সেই পুরনো অবস্থানের কথাই জানিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ট্রুডোর বক্তব্যে দিল্লি খুশি হতে পারেনি।