গত অগস্টে এক দফায় এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পরে অক্টোবরের শুরুতেই ভর্তুকিযোগ্য গ্যাস সিলিন্ডারের দাম আরও কিছুটা কমানো হয়েছিল। তবে এরই মাঝে রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থাগুলিকে একটি বিশেষ নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এই আবহে গ্রাহকদের করতে হবে একটি কাজ। যা না করলে মাথায় পড়বে হাত।
1/5 আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে দফায় দফায় কমেছে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম। অগস্টেই এক দফায় কমেছিল রান্নার গ্যাসের দাম। এদিকে অক্টোবরের শুরুতেই উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকদের জন্য ১০০ টাকা করে ভর্তুকি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মাঝে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও গ্যাসের দাম কমানো নিয়ে আলাদা আলাদা ঘোষণা করছে। তবে এই ভর্তুকি পেতে হলে গ্রাহকদের করতে হবে একটি বিশেষ কাজ।
2/5 কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থাগুলিকে এক নির্দেশিকা পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে বলা হয়, ভর্তুকিযোগ্য রান্নার গ্যাসের সব গ্রাহকের আধার যাচাই করতে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এদিকে সব ক্ষেত্রে কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার বিষয়ে সরাসরি গ্রাহকদের জানানো হয়নি সরকার বা জ্বালানি সংস্থাগুলির তরফ থেকে। এই সংক্রান্ত কোনও জনস্বার্থমূলক প্রচারও হয়নি। এই আবহে এই নির্দেশ ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে ধোঁয়াশা।
3/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় এক সপ্তাহ আগে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বেশ কিছু সিলিন্ডার ডিলারদের এই বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে জানায়। যদিও তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের তরফ থেকে ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামকে গত ১৮ অক্টোবরই এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে গ্রাহকরা এখনও এই বিষয়ে অন্ধকারে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্পূর্ণ করতে হবে এই প্রক্রিয়া।
4/5 এই আবহে এলপিজি গ্রাহকদের ভোগান্তি পোহাতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে চাপে পড়বেন ডিলাররাও। প্রশ্ন উঠছে, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযুক্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত আছে গ্যাস সংযোগও। এই আবহে ফের কেন বায়োমেট্রিক তথ্য চাওয়া হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে? সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কোনও এক পরিবারে একাধিক ভর্তুকিযোগ্য গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
5/5 এদিকে কোথায় এই বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলবে? রিপোর্ট অনুযায়ী, দোকানে গিয়ে গ্রাহকেরা বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে পারবেন। এদিকে যখন বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের ডেলিভারি করা হয়, তখন ডেলিভারি বয়-এর কাছে যন্ত্র থাকলে সেখানেও তথ্য দেওয়া যাবে। তবে প্রশ্ন উঠছে, সাম্প্রতিককালে বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার প্রবণতা বেড়েছে প্রতারকদের। এই আবহে গ্রাহকরা সমস্যায় পড়বেন না তো?