‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আমি লজ্জিত’, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে এমনই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আক্ষেপ, রাজনৈতিক কারণে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দেশের জন্য যাঁরা নিজেদের জীবনের পরোয়া করেননি, তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।
1/5 নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীতে তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বেলায় রেড রোডে নেতাজির জন্মজয়ন্তী উদযাপনের মঞ্চ থেকে মমতা দাবি করেন যে দেশনায়কের জন্মজয়ন্তীতে যাতে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হয়, সেজন্য ২০ বছর ধরে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেই চেষ্টায় সফল না হওয়ায় নেতাজির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন, ‘এদেশে পলিটিক্যাল প্রচারে ছুটি হয়ে যায়। কিন্তু যাঁরা দেশের জন্য জীবন দেন, তাঁরা বসে-বসে কাঁদেন।’ (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
2/5 মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘তিনি (নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু) আমাদের লড়তে শিখিয়েছিলেন, বাঁচতে শিখিয়েছিলেন। লড়াকু মনোভাব তৈরি করতে শিখিয়েছিলেন। মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছিলেন। তাই গান্ধীজি তাঁকে প্রথম দেশনায়ক, জাতীয় নেতা, দেশনেতা বলে স্বীকার করে নিয়েছিলেন।’ (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
3/5 পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আর আজ আমরা তাঁর জন্মদিনে (জাতীয় ছুটি ঘোষণা করতে পারিনি)। আমি ২০ বছর ধরে চেষ্টা করেও একটা জাতীয় ছুটির দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে পারিনি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আমি লজ্জিত। এদেশে পলিটিক্যাল প্রচারে ছুটি হয়ে যায়। কিন্তু যাঁরা দেশের জন্য জীবন দেন, তাঁরা বসে-বসে কাঁদেন।’ (ছবি সৌজন্যে ফেসবুক Mamata Banerjee ও সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস)
4/5 এমনিতে ২৩ জানুয়ারি পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে ছুটি দেওয়া হয়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তালিকা অনুযায়ী, স্কুলেও ২৩ জানুয়ারি ছুটি থাকে। স্কুলে গিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী পালন করতে হয়। তারপর ক্লাস হয় না। নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
5/5 যেদিন মমতা সেই কথা বলেছেন, তার আগেরদিনই রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার জন্য অর্ধদিবস ছুটির ঘোষণা করা হয়েছিল। দেশের সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসে অর্ধদিবস ছুটি ছিল। দুপুর ২ টো ৩০ মিনিট পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)