মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম মুম্বই সিটি এফসি- শনিবার আইএসএলের ফাইনালে যুবভারতী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে চলেছে দুই দল। আর সেই ম্যাচের আগে উত্তেজনায় ফুটছেন মোহনবাগানের ফ্যানরা। নিজেদের অনুভূতি তাঁরা কী জানালেন ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’-কে, তা দেখে নিন।
1/14 আইএসএল শিল্ডে জয়ের ম্যাচ আর সেমিফাইনালে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন পুরোপুরি মোহনভারতী হয়ে উঠেছিল। আইএসএল ফাইনালে কি মাঠে যাচ্ছেন, তা জানালেন রূপা অধিকারী, শুভঙ্কর প্রামাণিক, সৌরিমা খাঁ, ঝিনুক মুখোপাধ্যায়, 'মেরিনার্স' সুকান্ত, প্রিয়াঙ্কা মাইতি, সম্রাট রায়চৌধুরীরা। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক Mohun Bagan Super Giant)
2/14 শ্যামবাজারের সম্রাট রায়চৌধুরী বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা লিগ শিল্ড জিতেছি। আমাদের ঘরের মাঠে মুম্বইকে হারিয়েই সেটা জিতেছি। আমরা দেখিয়েছি, ঘরের মাঠে আমরা যে চাপটা তৈরি করি, সেটা ওদের জন্য কতটা ভয়ংকর হতে পারে। ফাইনাল নিয়েও আশাবাদী। আমি নিজেও মাঠে যাচ্ছি। তবে ফাইনালে নির্দিষ্ট কোনও খেলোয়াড়ের উপর বাজি ধরছি না।’
3/14 বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেই নিজের দায়িত্ব খুব সুন্দরভাবে পালন করেন। সেটা বিশাল কাইথ হোক বা জেসন কামিন্স। দিমিত্রি পেত্রাতোস পুরো মরশুম ভালো খেলছেন। অনিরুদ্ধ থাপাও ছন্দ ফিরে পেয়েছেন। কোনও একজন নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের উপর ভরসা করে ফাইনালটা জিততে চাই না আমরা। টিমগেমের উপর দাঁড়িয়ে জিততে চাই আমরা।’ (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক Mohun Bagan Super Giant)
4/14 সেইসঙ্গে স্প্লেন্ডর দি মেরিনার্স এবং মেরিনার্স দি এক্সট্রিমের সদস্য জানান যে গ্যালারিতে বড় কিছু করতে চলেছেন তাঁরা। তাঁর কথায়, ‘মাঠেও অনেক বড় পরিকল্পনা আছে। হয়তো যুবভারতীতে আগে এরকম কিছু হয়নি, যেটা শনিবার মোহনবাগানিরা মাঠে দেখতে পাবেন। আশা করা যায় যে সেই পরিকল্পনা সফল হবে। আর ফাইনাল জিতে ক্লাবে ট্রেবল এলে আরও বড় সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা আছে।’ (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক Mohun Bagan Super Giant)
5/14 মোহনবাগান বিলিভার্স ফ্যান ক্লাবের সদস্য তথা হাওড়ার কদমতলার প্রিয়াঙ্কা মাইতি বলেন, ‘ফাইনালের অনুভূতি বলতে মারাত্মক উত্তেজনায় ফুটছি। কারণ মায়ের সমান ক্লাব আমাদের। তবে টেনশনেও রয়েছি। কারণ মুম্বই সিটি খুবই শক্তিশালী দল। ফলে একটা মিশ্র অনুভূতি আছে। তবে মোহনবাগানের জয়ের বিষয়ে আমি নিশ্চিত। আমাদের ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার, স্ট্রাইকার- সবাই খুব ভালো ফর্মে আছেন। সকলের উপরই আমাদের বিশ্বাস-ভরসা আছে।’ আর ফাইনালে নিজের প্রিয় খেলোয়াড় হিসেবে দিমিত্রি পেত্রাতোসকে বেছে নিয়েছেন তিনি।
6/14 সেইসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমাদের একটা ফ্যান ক্লাব আছে - মোহনবাগান বিলিভার্স। সেই ফ্যান ক্লাবের সমস্ত বন্ধুদের সঙ্গে শনিবার যুবভারতীতে থাকব আমি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফাইনাল ম্যাচের মধ্যেই গ্যালারিতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। পুরোদমে সেটার প্রস্তুতি চলছে। আর মোহনবাগানের জয়ের পরে গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন হবে। তখন পুরোটা সামনে আনা হবে। আমরা আশাবাদী যে শনিবার মোহনবাগানই জিতবে। আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব।’
8/14 'রক্তে আমার মোহনবাগান' ক্লাবের সদস্য তথা বাঘাযতীনের ‘মেরিনার্স’ সুকান্ত বলেন, ‘ফাইনাল ম্যাচটা যে জিতব, সেই বিশ্বাস এবং ভরসা আছে আমাদের। ফাইনালে তো চোখ বুজে মোহনবাগানের উপর বাজি ধরছি। মোহনবাগান যে টুর্নামেন্টে খেলে, তাতে জেতার জন্যই নামে। টপ সিক্সে শেষ করার জন্য নামে না। চ্যাম্পিয়ন হতেই নামে।’ সেইসঙ্গে তিনি জানান, মোহনবাগান জিতলে সেলিব্রেশনের অনেক প্ল্যান আছে।
10/14 হাওড়ারই কদমতলার সৌরিমা খাঁ বলেন, '(মোহনবাগানে ফাইনালে যে খেলছে, সেটার) অনুভূতি তো অসাধারণ। এই মুহূর্তে চারিদিকে টিকিটের জন্য হাহাকার চলছে। এই নিয়েই প্রতিটা ঘণ্টা কাটছে প্রত্যেকটা মোহনবাগানিদের। অপেক্ষা মাত্র আর কয়েক ঘণ্টার। জয় মোহনবাগান।'
11/14 কুলপির শুভঙ্কর প্রামাণিক বলেছেন, 'আমাদের দল ফাইনালে খেলবে- ফ্যান হিসেবে আমাদের কাছে এটা একটা আলাদাই অনুভূতি। মাঠে তো যাবই।' তবে জয়ের সেলিব্রেশন কীভাবে করবেন, তা নিয়ে এখনই ভাবতে চান না শুভঙ্কর। তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচের সময় তো বেশ টেনশনে থাকব। তাই আগে জিতি, তারপর সব প্ল্যানিং করব।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'আশা করছি যে আমরাই শেষ হাসি হাসব। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের উপর ভরসা আছে। জয় মোহনবাগান।'
12/14 চাকদার রূপা অধিকারী বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে ফাইনালে মোহনবাগান জিতে যাবে। আমিও মাঠে যাচ্ছি। তবে এই ম্যাচের জন্য এফএসডিএল টিকিট কম ছেড়েছে। সেই পরিস্থিতিতে ৬০,০০০ আসনে ভরতি হবে কিনা, সেটা জানি না। তাতে পুরো মাঠই মোহনবাগানের জন্য গলা ফাটাবে।' তাঁর মতে, ফাইনালের নায়ক হয়ে উঠবেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।
13/14 তবে লড়াইটা যে খুব একটা সহজ হবে না, তা জানেন রূপা। তিনি জানিয়েছেন, মুম্বই শক্তিশালী দিন। শিল্ড জয়ের ম্যাচেও দাঁত-দাঁত চেপে লড়াই করে গিয়েছে। ফলে মোহনবাগারের কাছে লড়াইটা কঠিন হবে। তবে মুম্বই এটা জানে যে পুরো স্টেডিয়ামের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। মোহনবাগানের দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে সমর্থকরা থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক Mohun Bagan Super Giant)
14/14 সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মোহনবাগান শিল্ড জিতলে চাকদার কালীমন্দিরে পুজো দেওয়ার মানত করেছিলেন। আর জয়ের সেই রাতে মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে যত মোহনবাগান সমর্থক গিয়েছেন, তাঁদের দেখে 'জয় মোহনবাগান' বলেছেন। মনটা একেবারে উদ্বেলিত হয়ে গিয়েছিল। আর এবার আইএসএল জিতলে তাঁর পড়ুয়াদের যা যা প্রয়োজন, তা দেবেন বলে ঠিক করেছেন। সেটা বই হতে পারে, খাতা হতে পারে। তাঁর কাছে ৫৫ জন পড়েন। আপাতত সেটাই পরিকল্পনা রেখেছেন। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক Mohun Bagan Super Giant)