গতকাল দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নরেন্দ্র মোদী। একাধিক ইস্যুতে দুই রাষ্ট্রনেতার কথাবার্তা হয়। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়েও কথা হয় বাইডেন ও মোদীর। সেই বিষয়ে পরে সাংবাদিকদের জানান মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদের কর্তা কার্ট ক্যাম্পবেল।
1/5 মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক কোঅর্ডিনেটর কার্ট ক্যাম্পবেল সাংবাদিকদের জানান বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বইডেন বলেন, 'দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গণতন্ত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু। তবে অন্য কোনও দেশকে এই নিয়ে লেকচার দেওয়ার পক্ষপাতী আমেরিকা নয়। পারস্পরিক সম্পর্কে নম্রতা বজায় রাখা অত্য জরুরি।'
2/5 উল্লেখ্য, ভারতের বিষয়ে হোয়াটই হাউজের নীতি নির্ধারণের মূলে রয়েছেন এই কার্ট ক্যাম্পবেল। মোদী এবং বাইডেনের বৈঠকের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এই আবহে তিনি জানান, মোদী এবং বাইডেনের মধ্যে অকৃত্রিম হৃদ্যতা দেখা গিয়েছে বৈঠকে। দুই রাষ্ট্রনেতার একে অপরের প্রতি বিশ্বাসের দিকটাও ফুটে উঠেছে এই বৈঠকে।
3/5 ক্যাম্পবেল বলেন, 'গণতন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বাইডেন অত্যন্ত স্পষ্ট। তবে তিনি এমনভাবে কিছু করেন না যাতে মনে হচ্ছে পরামর্শ দেওয়ার নামে এক দেশ অন্য দেশকে লেকচার দিচ্ছে। বরং আমরা সকলেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলে তা ভাগ করে নেব। আমরা মনে করি, গণতন্ত্র সম্পর্কে কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে চলার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকে এই নিয়ে বাইডেন আবারও বলেছেন, যে গণতন্ত্র আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।'
4/5 প্রসঙ্গত, জি২০ সম্মেলনের আগে গতকাল দিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই বৈঠকের পরই যৌথ বিবৃতিতে এই সমস্যার সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসা নিয়ে জানানো হয় দুই দেশের তরফে। এদিকে বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর মোদী জানান, একাধিক বিষয় নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দু'দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোদীর দাবি, বিশ্বের মঙ্গলের জন্য ভারত এবং আমেরিকার বন্ধুত্ব খুবই প্রয়োজনীয়।
5/5 সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ মোদী একটি পোস্টে লেখেন, 'সাত লোক কল্যাণ মার্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দ বোধ করছি। আমাদের বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। যা ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে আর্থিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। বিশ্বের মঙ্গলের জন্য আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।'