1/6 শিয়রে লোকসভা ভোট। তার আগে সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষৎাকরে একাধিক ইস্যুতে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাক্ষাৎকারের শুরুতেই ২০৪৭ সাল পর্যন্ত কোন দৃষ্টিভঙ্গ নিয়ে তাঁর সরকার কাজ করছে, সেই রোডম্যাপের খতিয়ান দিয়েছেন মোদী। আত্মবিশ্বাসের সুরে, তিনি বলেন, সেই রোডম্যাপ তৈরির কাজ শুরু করতে তিনি অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর এই সাক্ষাৎকারে উঠে আসে রামমন্দির প্রসঙ্গও। রামমন্দির নিয়ে কী বললেন মোদী? (ANI Photo)
2/6 মোদীর কাছে প্রশ্ন ছিল যে বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে যে রামমন্দিরকে বিজেপি রাজনৈতিক হাতিয়ার করে তুলেছে। প্রশ্ন শুনে মোদী দাবি করেন যে, কংগ্রেস সহ তার সঙ্গীরাই রামমন্দিরকে রাজনৈতিক অস্ত্র করে তুলেছে। অযোধ্যার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবে কংগ্রেসের অনুপস্থিতি নিয়েও তিনি খোঁচা দিতে ছাড়েননি। . (ANI Photo)
3/6 মোদী বলেন, ‘রামনন্দিরের রাজনীতিকরণ কে করল? তখন আমাদের জন্মও হয়নি. আমাদের পার্টি যখন তৈরিও হয়নি, তখন আদালতে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারত। দেশভাগের সময়ই সমাধান করা যেত। এটিকে হাতিয়ার করে ধরে রাখা হয়েছিল।’ কংগ্রেসের দিকে তোপ দেগে মোদী অভিযোগ তোলেন যে, রামমন্দির ইস্যু নিয়ে বিরোধীরাই উস্কানি দিয়ে এসেছে। (ANI Photo)
4/6 মোদীর অভিযোগ, যখন রামমন্দির ইস্যু আদালতে পৌঁছল, তখনও তাতে বাধা দিয়েছে বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এমনকি আদালতে মামলা চললেও তারা আদালতের রায় বিলম্বিত করার চেষ্টা করে। কেন? কারণ তাদের কাছে এটা ছিল রাজনৈতিক অস্ত্র। তারা বলতে থাকে রামমন্দির বানালে, মেরে ফেলবে।' (ANI Photo)
5/6 এখানেই শেষ নয়। মোদী বলেন, ‘এটি ছিল একটি ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করার উপায়। এখন কি হল? রামমন্দির তৈরি হয়েছে, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং সেই ইস্যুটি তাঁদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে।’ এরই সঙ্গে পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, তাদের স্বভাব। সোমনাথ মন্দির থেকে এখন পর্যন্ত ঘটনা দেখুন। সোমনাথ মন্দিরে সমস্যা কি ছিল? ডাঃ রাজেন্দ্র বাবু যেতে চেয়েছিলেন। জনসংঘ ছিল না, বিজেপি ছিল না। কিন্তু তাঁরা তাকে যেতে দিতে রাজি হননি।’ (ANI Photo)
6/6 মোদী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নই রামভক্ত হিসাবে রামন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় নিয়ম পালন করেছি। মাটিতে শুয়েছি, যেখানে শ্রীরাম গিয়েছিলেন সেখানে গিয়েছি। দক্ষিণে যে ভক্তি, আস্থা দেখেছি, তা অবাক করার মতো। আমার জন্য রামমন্দির ইভেন্ট নয়। এই মন্দির যখন দেখি তখন দেখতে পাই ৫০০ বছরের সংঘর্ষ, লাখ মানুষের বলিদান, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া। . (ANI Photo)