লোকসভা ভোট আসন্ন। আর একদিন পরই নতুন বছরে পা দিতে চলেছি আমরা। আর তারপরেই কার্যত বেজে যবে ভোটযুদ্ধের দামামা। আর লোকসভা ভোটের আগেই দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমতে চলেছে বলে দাবি করা হল এক রিপোর্টে। এই সংক্রান্ত পরিকল্পনা নাকি অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।
1/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী এপ্রিল এবং মে মাসেই সম্ভবত অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে পেশ হতে চলেছে অন্তরবর্তীকালীন বাজেট। এই আবহে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক নাকি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমানোর পরিকল্পনা করছে। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটেরে অনুমোদন পেলেই নাকি এই সংক্রান্ত ঘোষণা করা হতে পারে।
2/5 আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে অশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমছে। এই আবহে ভারতেও জ্বালানি তেলের দাম কমানো হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। নিউজ ১৮-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক এই দাম কমানোর বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই।
3/5 রিপোর্টে দাবি করা হয়, এক ধাক্কায় পেট্রোলে লিটার পিছু ১০ টাকা করে কমানোর কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে ডিজেলের ক্ষেত্রও এক ধাক্কায় লিটারে ১০ টাকা করেই কমাতে পারে সরকার। এর আগে প্রায় ২ বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার এক ধাক্কায় পেট্রোলের দাম লিটারে ৮ টাকা এবং ডিজেলের দাম লিটারে ৬ টাকা কমিয়েছিল। অর্থাৎ, জ্বালানি তেলে ধার্য সেস কমিয়েছিল।
4/5 প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ব্যারিল প্রতি ৭০ থেকে ৮০ ডলারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধের সময় এই রেট ১০০ ডলারের অনেকটাই ওপরে চলে গিয়েছিল। তখন ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনতে শুরু করেছিল। এদিকে বিশ্ববাজারে সাম্প্রতিককালে অশোধিত তেলের দাম কমলেও দেশে তেলের দাম অপরিবর্তিত থেকেছে। এই আবহে তিন রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল, বিপিসিএল এবং এইচপিএসিএল-এর অনেক মুনাফা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
5/5 এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরে নাকি জ্বালানি তেলের দাম কমানোর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে। নিউজ ১৮-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে সবুজ সংকেত মিললেই কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে এই নিয়ে প্রস্তাব পেশ করে তা পাশ করানো হবে। তার পরই এক ধাক্কায় অনেকটা করে কমানো হতে পারে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম।