১ জুলাই থেকে দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে মাসে ১০ কেজি করে অন্ন দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁর সেই জনমুখী প্রকল্প শুরু হওয়ার আগেই সংকটের মুখে। অভিযোগ উঠেছে, ফুড কর্পোরেশন যাতে কর্ণাটক সরকারকে চাল না বিক্রি করে, তার জন্য 'নির্দেশ' দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
1/5 উল্লেখ্য, কর্ণাটকে বিপুল ভোটে জিতে সরকার গড়েছে কংগ্রেস। সেখানের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ঘোষণা করেন যে আগামী ১ জুলাই থেকে দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা পরিবারের প্রতি সদস্যকে সদস্যকে মাসে ১০ কেজি করে অন্ন দেবে রাজ্য সরকার। এর জন্য ফুড কর্পোরেশনের থেকে রাজ্যকে বিপুর পরিমাণ চাল কিনতে হত। আর এখানেই জটিলতা দেখা দিয়েছে।
2/5 কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের তরফে দাবি করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ফুড কর্পোরেশন রাজ্যকে চাল বিক্রি করতে অস্বীকার করছে। এই আবহে ১ জুলাই থেকে 'অন্ন ভাগ্য' যোজনা চালুর আগেই তা সংকটেকর মুখে পড়েছে। জানা গিয়েছে, সিদ্দারামাইয়ার ঘোষিত অন্ন ভাগ্য কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে কর্ণাটক সরকাররে প্রতি মাসে ২.২৮ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য লাগবে।
3/5 এদিকে ফুড কর্পোরেশনের সঙ্গে রাজ্যের চুক্তি অনুযায়ী, পরিবহণের খরচ সমেত কর্ণাটককে ৩৬.৬ টাকা দরে প্রতি কেজি চাল বিক্রিতে সম্মত হয়েছিল এফসিআই। অর্থাৎ, প্রতি মাসে রাজ্যের এই বাবদ খরচ হবে ৮৪০ কোটি টাকা। বছরে সেই খরচ ছুঁয়ে ফেলবে ১০ হাজার ৯২ কোটি টাকা।
4/5 এদিকে কর্ণাটক সরকার ১২ জুন ক্যাবিনেটে এই অন্ন ভাগ্য কর্মসূচিকে অনুমোদন দেওয়ার পর ১৩ জুন কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাতে জানানো হয়, উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি ছাড়া অন্য রাজ্যগুলিকে ফুড কর্পোরেশন আর চাল বিক্রি করবে না। এই আবহে বিপাকে পড়েছে কর্ণাটক সরকার। কারণ ইতিমধ্যেই তারা ১০ কেজি অন্ন দেওয়ার ঘোষণা করে ফেলেছে।
5/5 এদিকে রাজ্য সরকারের বক্তব্য, ফুড কর্পোরেশনের প্রতিশ্রুতি পেয়েই তারা ১ জুলাই থেকে অন্ন ভাগ্য কর্মসূচি চালুর ঘোষণা করেছিল। এখন রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় সরকার তাতে বাধা সৃষ্টি করছে। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প উপায়ে চালের যোগান দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে কর্ণাটক সরকার।