দীর্ঘ একবছরেরও বেশি সময় ধরে ডিএ আন্দোলন চলছে। অবশ্য শুধু ডিএ বৃদ্ধি নয়, আন্দোলনকারীদের আরও দাবি, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে। এই সব আন্দোলন এবং দাবির মাঝেই রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দফতরের অধীনস্থ কর্মীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি করা হল।
1/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দফতরের অধীনস্থ শিশু শিক্ষা প্রকল্প এবং মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকল্প কেন্দ্রের কর্মীদের বার্ষিক সাম্মানিক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্যপালের অনুমোদনও পাওয়া গিয়েছিল আগেই। তাই এই সক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল গত বছরের জানুয়ারি মাসেই। এদিকে গত ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে এই প্রস্তাবিত বেতন বৃদ্ধি।
2/5 এর আগে ডিএ আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে থাকা বিভিন্ন অস্থায়ী শিক্ষকের বেতন এক ধাক্কায় ৫ হাজার টাকা কমিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে অনেক অস্থায়ী কর্মী ডিএ-র সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে ২০২৩-এর ডিএ নোটিফিকেশন অনুযায়ী, বহু অস্থায়ী কর্মীরই মহার্ঘ ভাতা বাড়েনি এবছর।
3/5 এই আবহে রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দফতরের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, শিশু শিক্ষা প্রকল্প কেন্দ্রের শিক্ষা সহায়কদের সাম্মানিক বার্ষিক তিন শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া এই কেন্দ্রগুলির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারদের সাম্মানিকও বছরে ৩ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়েছে। এই একই হারে বাড়ানো হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকল্প কেন্দ্রের সম্প্রসারকদের সাম্মানিকও।
4/5 বাংলার পুর এলাকাগুলিতে ৫ থেকে ৯ বছর বয়সি সমস্ত শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার অধীনে আনতেই এই প্রকল্প চালানো হয়। এদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকল্প কেন্দ্রে ন’বছরের বড় স্কুলে না যাওয়া পড়ুয়ারা থাকতে পারবে। এই প্রল্পের অধীনে থাকা কেন্দ্রে কমপক্ষে ২০ জন পড়ুয়া থাকতে হবে। যে সব পড়ুয়ারা স্কুলে যায় না, তাদের নিয়ে করতে হবে এই কেন্দ্র। আর সর্বোচ্চ ৪০ জন পড়ুয়া থাকতে পারে এই ধরনের কেন্দ্রে। সর্বোচ্চ ৪০ পড়ুয়া থাকলে সেই কেন্দ্রে দু’জন শিক্ষা সহায়িকা পড়াশোনার দায়িত্বে থাকবেন।
5/5 এই ধরনের শিশু শিক্ষা বা মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে পড়ুয়াদের পড়ানোর পদ্ধতি, বই, দৈনিক স্কুলের সময়, সবই সাধারণ স্কুলের মতো হতে হবে। বইখাতা ও পড়ার অন্যান্য সামগ্রীর জন্য প্রয়োজনীয় খরচ দফতর এবং প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা প্রদান করবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রারম্ভিক শিশু শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থা এবং রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দফতর এই প্রকল্প যৌথ ভাবে বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে।