বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Supreme Court on Electoral Bond Case: নির্বাচনী বন্ডে কোন দল কত টাকা পেয়েছে, ২ সপ্তাহে হিসেব দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে
Supreme Court on Electoral Bond Case: নির্বাচনী বন্ডে কোন দল কত টাকা পেয়েছে, ২ সপ্তাহে হিসেব দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে Updated: 03 Nov 2023, 08:52 AM IST Abhijit Chowdhury নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তহবিলে কত টাকা জমা পড়েছে, এই তথ্য দুই সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। নির্বাচনী বন্ডের বিরোধিতায় দায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ। 1/5 নির্বাচনে কালো টাকা রুখতেই নাকি নির্বাচনী বন্ডের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। পরশু এমনই দাবি করা হয়েছিল সরকারের তরফে। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতকে বলা হয়েছিল, নির্বাচনী বন্ডের তথ্যের বিষয়ে জানার অধিকার নেই আম নাগরিকের। আর গতকাল এই মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হল, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন দলের পকেটে কত টাকা ঢুকেছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় হিসেব জমা দিতে হবে। 2/5 সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন দল কত টাকা পেয়েছে, সেই তথ্য একটি বন্ধ খামে ভরে জমা দিতে হবে শীর্ষ আদালতে। এদিকে এই মামলার রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট একটি নির্দেশে জানিয়েছিল, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন দল কত টাকা পাচ্ছে, সেই তথ্য জমা রাখতে হবে। সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল তথ্য জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। 3/5 সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রের তরফ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমনি রবিবার শীর্ষ আদালতকে বলেছিলেন, 'নির্বাচনী বন্ডের টাকা কোথা থেকে আসছে, তা জানার অধিকার আম নাগরিককে দেয়নি সংবিধান।' এরপর গত পরশু সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এই বিষয়ে আদালতে বলেছিলেন, 'নির্বাচনে কালো টাকা খরচের বহর দেশের জন্য চিন্তার বিষয় ছিল। এই সমস্যার সমাধানের জন্যই ভেবেচিন্তে নির্বাচনী বন্ডের স্কিম আনা হয়েছিল।' 4/5 প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম বিধানসভা নির্বাচেনর আগে নির্বাচনী বন্ডের বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক দলগুলির অবৈধ এবং বিদেশ থেকে এই বন্ডের মাধ্যমে টাকা পেতে পারে এবং এতে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। 5/5 উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ডের স্কিম আনা হয়। তার পর থেকে কোনও বাধা ছাড়াই বন্ড বিক্রি করা হচ্ছে। এই আবহে এর আগে এই বন্ড বিক্রির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করতে চায়নি সর্বোচ্চ আদালত। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে সর্বোচ্চ আদালতকে জানানো হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলির হাতে নগদের অভাব থাকায় নির্বাচনী বন্ড বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কমিশনের দাবি, নির্বাচনী বন্ডে কোনও অস্বচ্ছতা নেই।