শুভব্রত মুখার্জি : গ্রুপ-এ-র গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মঙ্গলবার মুখোমুখি হয়েছিল সেনেগল এবং ইকুয়েডর। নক আউট পর্বে যেতে হলে ম্যাচে জিততেই হত সেনেগলকে। আর সেই ম্যাচেই তাঁরা ২-১ গোলে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয়। সেনেগল অধিনায়ক কালিদৌউ কৌলিবালি এই ম্যাচে এক স্পেশ্যাল আর্মব্যান্ড পরে নেমেছিলেন। তাতে লেখা ছিল ১৯। আর সেই আর্মব্যান্ডের মধ্যে দিয়ে বিশেষ বার্তা দেন সেনেগল অধিনায়ক।
আরও পড়ুন: হেরেও শীর্ষে ফ্রান্স, নকআউটে অজিরা,ছিটকে গেল ডেনমার্ক-তিউনিশিয়া
সেনেগলের প্রাক্তন ফুটবলার পাপা বৌউবা ডিওপ বছর দুয়েক আগে ২৯ নভেম্বরই প্রয়াত হয়েছিলেন। তাঁর জার্সি নম্বর ছিল ১৯। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হয় এই আর্মব্যান্ড। আসলে ২০০২ সালে সেনেগল প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলেছিল। আর্বিভাবের বছরে তাঁরা প্রথম ম্যাচেই হারিয়ে দিয়েছিল ১৯৯৮-এর বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে। সেই ম্যাচে সেনেগলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন বৌউবা ডিওপ। ২০০২ সালে আফ্রিকার এই দেশটি কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল। আর ডিওপ হয়ে যান সেনেগলের নায়ক। আর মঙ্গলবার তাঁকেই সম্মান জানাতেই কৌলিবালির এই বিশেষ উদ্যোগ।
ডিওপ মাত্র ৪২ বছর বয়সেই প্রয়াত হন। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানাতেই ১৯ নম্বর লেখা আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমেছিলেন কৌলিবালি। আর তাঁর নেতৃত্বেই ২০২২ সালের পর ফের বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে পৌঁছল সেনেগল।
আরও পড়ুন: বড় অঙ্কের প্রস্তাব, সৌদি আরবের ক্লাবেই সই করতে চলেছেন রোনাল্ডো- রিপোর্ট
সেনেগলের মিডফিল্ডের অন্যতম বড় ভরসা ছিলেন পাপা বৌউবা ডিওপ। ২০০২ দক্ষিণ কোরিয়া- জাপানে যে বিশ্বকাপ হয়েছিল, সেখানে সেনেগলের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ডিওপের। তাঁর তৎকালীন সতীর্থ অ্যালিউ সিসে আবার এই মুহূর্তে জাতীয় দলের কোচের ভূমিকায় রয়েছেন। তাঁর প্রশিক্ষণেই গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরকে হারিয়ে নক আউটে গিয়েছে সেনেগল। ২০০২ বিশ্বকাপে ডিওপ তিনটি গোল করেছিলেন। যা সেনেগলের ইতিহাসে সর্বাধিক। পাশাপাশি তিনি জাতীয় দলের হয়ে ৬২ টি ম্যাচ খেলেছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।