বৃহস্পতিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ফের হারল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেই সঙ্গে তারা এই মরশুমে হারের হ্যাটট্রিক করে ফেলল। কেন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে কেকআর? চৌম্বকে উঠে আসছে একাধিক কারণ।
1/5 কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওপেনিং জুটি ফের ব্যর্থ হয়। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে একেবারে নতুন ওপেনিং জুটি নামিয়েছিল নাইটরা। জেসন রয় এবং লিটন দাস ওপেন করেছিলেন। কিন্তু জেসন রয় লড়াই চালালেও, লিটন ব্যর্থ হন। ওপেনিং জুটির সংগ্রহ মাত্র ১৫ রান। আর এই জুটি স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ২ ওভার। ওপেনাররা ব্যর্থ হলেও, সেই চাপটা পুরো ব্যাটিং অর্ডারেই পড়ে। যেটা দিল্লির বিরুদ্ধেও ব্যতিক্রম হল না।
2/5 দিল্লির বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ হন। একের পর এক বাজে শট খেলে আউট হন কলকাতার ব্যাটাররা। নীতিশ রানা, রিঙ্কু সিং, বেঙ্কটেশ আইয়াররা আরও একবার হতাশ করলেন। এঁরা কেউই দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছালেন না। জেসন রয়ের ৪৩ রান ছাড়া বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আন্দ্রে রাসেলের। অপরাজিত ৩৮। এ ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছেন মনদীপ সিং। করেছেন মাত্র ১২ রান। বাকিরা তো ব্যর্থতার চাদর মুড়ে এক অঙ্কের ঘরেই গড়াগড়ি খেলেন।
3/5 কলকাতার বিরুদ্ধে দিল্লির বোলাররা জ্বলে উঠলেন। অভিজ্ঞ ইশান্ত শর্মা, এনরিখ নরকিয়া থেকে শুরু করে দুই স্পিনার অক্ষর প্যাটেল এবং কুলদীপ যাদব ভালো বল করলেন। চার বোলারই ২টি করে উইকেট নিলেন। আর দিল্লির বোলারদের ভালো পারফরম্যান্সের ঝড়ে খড়কুটোর মতোই গুঁড়িয়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মাত্র ১২৭ রানেই কলকাতার ইনিংস শেষ হয়ে যায়।
4/5 দিল্লি ক্যাপিটালস আর কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচের আগে বৃষ্টির জেরে খেলা দেরীতে শুরু হয়। পাশাপাশি মাঠ ভিজে থাকায়, কেকেআর প্রথম ব্যাট করায় তার প্রভাব পড়ে খেলায়। একেই আউটফিল্ড স্লো ছিল। তার উপর ম্যাচের প্রথম সেশনে বৃষ্টি ভেজা উইকেট থেকে কিছুটা সুবিধাই পেয়েছে দিল্লির পেসাররা। কিন্তু পরের দিকে উইকেট কিছুটা সহজ হওয়ায় আর সেই সুবিধে পাননি নাইট বোলাররা।
5/5 কলকাতার বোলাররা দিল্লির উইকেট ফেলতে ব্যর্থ হন। পেসাররা তো উইকেটই তুলতে পারেননি। স্পিনাররা তাও কিছুটা চেষ্টা করেছিল। তবে অধিনায়ক হিসেবে ওয়ার্নার কিন্তু প্রতি ম্যাচে দিল্লির ঢাল হচ্ছেন। দিল্লির বাকি ব্যাটাররা কিছু করতে না পারলেও ওয়ার্নার কিন্তু লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। যেটা নীতিশ রানা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তার উপর অধিনায়ক হিসেবে নীতিশের অভিজ্ঞতাও সেই ভাবে নেই। দল পরিচালনার ক্ষেত্রে ফাঁকফোকড় থেকেই যাচ্ছে। আসলে নাইট টিমে একজন লিডারের অভাব স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে।