Ravi Kishan: 'রবি কিষাণ আমার জন্মদাতা', পিতৃ পরিচয় চাই! ডিএনএ পরীক্ষার দাবি তুলে BJP সাংসদের নামে মামলা অভিনেত্রীর

Ravi Kishan: গোপনে বিয়ে, সন্তানের জন্ম দেওয়ার অভিযোগ! লোকসভা ভোটের আগে বিপাকে বিজেপির গোরক্ষপুরের প্রার্থী, পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক অভিসন্ধি?

'রবি কিষাণ আমার বায়োলজিক্যাল বাবা', মামলা দায়ের অভিনেত্রীর, ডিএনএ পরীক্ষার দাবি

লোকসভা ভোটের আবহে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না গোরক্ষপুরের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ রবি কিষাণের। কিছুদিন আগেই ভোজপুরী সুপারস্টারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ এনেছিলেন অপর্ণা ঠাকুর নামের এক মহিলা। তাঁর দাবি, তিনি রবি কিষাণের স্ত্রী। এবং তাঁদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে, শেনোভা। এবার সেই মেয়েই ‘বাবা’র বিরুদ্ধে কোর্টের দরজায় কড়া নাড়ল।

শনিবার রবি কিষাণের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের এক আদালতে মামলা দায়ের করেছে শোভোভা। আবেদনপত্র ২৫ বছর বয়সী উঠতি অভিনেত্রীর দাবি, রবি কিষাণ তাঁর জন্মদাতা, বায়োলজিক্যাল পিতা। সেই পরিচয় পেতে চান শেনোভা। তাই আদালতের কাছে তাঁর আর্জি অভিনেতা ডিএনএ পরীক্ষার মুখোমুখি হন। অপর্ণা সোনি ও রবি কিষাণের মেয়ে বলে নিজেকে দাবি করেছেন শেনোভা। 

জনসমক্ষে তাঁকে কন্যা বলে স্বীকার করুক অভিনেতা-রাজনীতিক এমনটাই দাবি শেনোভার। অন্যদিকে বম্বে হাইকোর্টেও পৃথক একটি আবেদন দাখিল করেছেন শেনোভা, সেখানে রবি কিষাণের স্ত্রী শেনোভা ও তাঁর মা-সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে যে এফআইআর রুজু করেছেন তা খারিজ করার আবেদন জানান শেনোভা। রবি কিষাণের স্ত্রী, প্রীতি কিষাণ অর্পণা ও শেনোভার বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগ এনেছেন। তাঁর দাবি রবি কিষাণকে ফাঁসিয়ে টাকা হাতানোর চেষ্টায় রয়েছে মা-মেয়ে। 

আদালতে দাখিল পিটিশনে শেনোভা জানান, ১৯৯১ সালে তাঁর মা, অপর্ণকে বিয়ে করেছিলেন রবি কিষাণ। কিন্তু তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন না ব্যক্তিগত কারণে। ১৯৯৮ সালে তাঁর জন্ম। কিন্তু ততদিনে প্রীতিকে বিয়ে করে আলাদা সংসার পেতেছিলেন কিষাণ। ছোট থেকে রবিকে ‘অ্যাঙ্কেল’ বলে ডাকত শেনোভা।  ১৫ বছর বয়সে নিজের পিতৃ পরিচয় জানতে পারে সে। কিন্তু সেইসময়ও জনসমক্ষে রবিকে ‘বাবা’ ডাকার অধিকার মেলেনি। আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি লোকসভা ভোটের জন্য শুভেচ্ছা জানাতে রবি কিষাণের সঙ্গে দখা করতে গিয়েছিলেন শেনোভা, কিন্তু রবি তাঁর সঙ্গে মোলাকাত করতে অস্বীকার করেন।

 এরপরই সাংবাদিক বৈঠকে সবটা প্রকাশ্যে আনার সিদ্ধান্ত নেন মা-মেয়ে। শেনোভা আগেই জানিয়েছেন, ‘বাবা হিসাবে কোনওদিন পাশে থাকেননি তিনি। ছোটবেলায় নিয়মিত আমাদের বাড়িতে ওঁর যাতায়াত ছিল। আমি জানতাম উনি আমার কাকা হন। সত্যিটা সামনে আসার পর আমি মেয়ের স্বীকৃতি চেয়েছিলাম, উনি মিথ্যা আশ্বাসই দিয়ে গিয়েছেন। গত চার বছর ধরে পাত্তা নেই ওঁনার। আমি বেঁচে আছি না মরে গেছি সেই খোঁজটুকু নেন না'। আগামী ২৫শে এপ্রিল মুম্বই কোর্টে শেনোভার আবেদনের শুনানি হবে।