এটাও কি সম্ভব? চিকিৎসকরা অবাক। মহিলার জরায়ু থেকে বেরোলো যে সিস্ট, তার ওজন ৯ কিলোগ্রামেরও কিঞ্চিৎ বেশি। সেটাই বিস্মিত করেছে চিকিৎসকদের।
ঘটনাটি ঘটেছে এ রকম। দীর্ঘ দিন ধরেই ওজন বাড়ছিল এই মহিলার। তাইল্যান্ডের এই মহিলা প্রথমে ভেবেছিলেন, কোনও কারণে ওজন কমাতে পারছেন না তিনি। ডায়েট, শরীরচর্চা কোনও কিছুতেই লাভ হয়নি। এণনকী চিকিৎসকদের কাছে প্রথমে যান এই কারণেই। তাঁরাও গোড়ার দিকে বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তার পরে চিকিৎসকরা বেশ কিছু পরীক্ষা করে টের পান, ওই মহিলার তলপেটের কাছে বড় সড় লাম্প রয়েছে। এর পরেই আরও পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তখন দেখা যায়, ভিতরে একটি সিস্ট তৈরি হয়েছে।
(আরও পড়ুন: লাল চোখের দিকে তাকিয়েছেন, আপনারও ‘জয় বাংলা’ হবে নাকি? জেনে নিন আসল সত্যিটা)
কী এই সিস্ট? সহজ ভাষায় বলতে গেলে জলপূর্ণ থলি। একটি ওভারি বা ডিম্বাশয়ের পাশে তৈরি হয়েছিল এই সিস্টটি। প্রাথমিক পরীক্ষার পরে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন, এটি অপারেশন করে বাদ দেওয়ার। কিন্তু তখনও পর্যন্ত ভাবতে পারেননি, সেটি এত বড় হয়ে থাকতে পারে।
(আরও পড়ুন: বশ মানছে না স্বপ্ন! তাই নিজেই ড্রিল দিয়ে ঘিলু ঠিক করার চেষ্টা, এর পর যা হল)
এর পরে অপারেশন করতে গিয়েই চিকিৎসকরা টের পান সিস্টটি এমন মারাত্মক আকার নিয়েছে। ৯.৪ ইঞ্চি বাই ১৩.৪ ইঞ্চির এই সিস্টটির ওজন প্রায় ৯ কিলোগ্রাম। এত বড় সিস্ট সচরাচর দেখা যায় না। আর তাতেই এত অবাক হয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা পরীক্ষা করে টের পেয়েছেন এই সিস্টটি ম্যালিগন্যান্ট হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ এটি থেকে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তাই এই সিস্টটির সঙ্গে বাদ দেওয়া হয় মহিলার জরায়ুও। আপাতত তিনি বিপদ কাটিয়ে উঠেছেন। আগামী দিনে রুটিন চেকআপে থাকতে হবে তাঁকে।
(আরও পড়ুন: কম কম খেলেই এড়ানো যাবে ভুলে যাওয়ার রোগ! গবেষণায় নয়া তথ্যের হদিশ বিজ্ঞানীদের)
এই ঘটনার পরেই চিকিৎসকরা সকলকে সাবধান করেছেন, এই ধরনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়েই সাবধান হতে। কারও শরীরে এই ধরনের অস্বস্তি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। এই মহিলা হয়তো এখন নিরাপদ। কিন্তু এ থেকে বেশি দেরি হলে তাঁর সমস্যা হতে পারত। সেই কারণেই সকলকে সচেতন হওয়ার কথা বলেছেন তাঁরা।