Low Libido Reasons: বহু পুরুষই টের পাচ্ছেন, সহবাসের ইচ্ছা কমছে। অনেকে এর জন্য দায়ী করছেন গরমকে। আদৌ কি তাই? নাকি কারণটা অন্য কিছু?
1/11 গরমে প্রাণ অতিষ্ঠ। রাতে বিছানার তপ্ত হয়ে আছে। এই অবস্থায় অনেকেই যৌন সম্পর্ক থেকে অনেক দূরে থাকছেন। এবং তাঁরা ভাবছেন, এই গরমের কারণেই কমে যাচ্ছে শারীরিক সম্পর্কের ইচ্ছা। কিন্তু ব্যাপারটা কি আদপেও তাই? নাকি রয়েছে অন্য কারণ?
2/11 একটা বয়সের পরে পুরুষ ও নারীর যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু হালে দেখা যাচ্ছে, অনেক কম বয়সির মধ্যেও এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর কারণ হয়তো এই মারাত্মক গরম নয়। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এর পিছনে থাকতে পারে অন্য সমস্যা। দেখে নিন সেগুলি কী কী হতে পারে।
3/11 হালে বহু কম বয়সি পুরুষ ইরেকটাইল ডিসফাংশনে ভোগেন। এর পিছনে থাকে মানসিক বা সাইকোলজিক্যাল সমস্যা। এক্ষেত্রে লিবিডো বা যৌন ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যৌনাঙ্গ শিথিল হয়ে থাকে। তাতে সহবাসের সুযোগ আর থাকে না। মূলত সঙ্গীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি হলে, বা পুরুষটি অবসাদে আক্রান্ত হলে বা কাজের চাপ বাড়লে এই সমস্যা হতে পারে।
4/11 এবার প্রশ্ন হল, এই সমস্যা কাটাবেন কী করে? অনেকে অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্ট জাতীয় ওষুধ খান। এই ধরনের ওষুধ খেলেও যৌন সমস্যা তো কাটেই না, উলটে তা বেড়ে যেতে পারে। এর সঙ্গে অতিরিক্ত ওজন থাকলে, এবং মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তো কথাই নেই। তাহলে সমস্যা আরও বাড়বে।
5/11 সমস্যার শেষ এখানেই নয়। দেখা গিয়েছে, যাঁদের হাই ব্লাড সুগার, হাই ব্লাড প্রেশার রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে সহবাসের ইচ্ছা তলানিতে চলে যেতে পারে। ফলে এসহ ক্ষেত্রে গরমকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। বর শরীরে অন্য রোগের কারণেই হয়তো এই জাতীয় সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
7/11 যদি নিয়মিত ডিপ্রেশনের ওষুধ খান, তাহলে সে কথাও জানাতে হবে চিকিৎসককে। তিনি প্রয়োজন মতো ওষুধ বদলে দেবেন। পাশাপাশি মদ-ধূমপান-ওজনের সমস্যার কারণে এই ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যা হলে, সেগুলিও কমাতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম ও সুস্থ জীবনযাপন করলেই ওষুধ ছাড়াই ঠিক হয়ে যায় সহবাসের সমস্যা।
8/11 আরও একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গিয়েছে কি না। এবং প্রোল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বেড়েছে কি না। পিটুইটারি গ্রন্থিতে বা শুক্রাশয়ে গণ্ডগোল থাকলেও শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরি হবে না। এর ফলে সহবাসের ইচ্ছাও কমে যাবে। টেস্টিস না হরমোন গ্রন্থির সমস্যা থাকলে তা শনাক্ত করে প্রয়োজনে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি করাতে হবে। এটিও চিকিৎসক বলে দেবেন।
9/11 লিবিডো কম থাকার সমস্যা হতে পারে অটোনমিক নার্ভের জন্যও। এই স্নায়ুর গণ্ডগোল থাকলে ইরেকশনে সমস্যা হয়। দীর্ঘ দিন ডায়াবিটিস থাকলে এই নার্ভের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুরুষের যৌনাঙ্গে রক্তবাহী শিরা অর্থাৎ ভাসক্যুলার সাপ্লাইয়ে কোনও গণ্ডগোল থাকলেও সহবাসের অক্ষমতা দেখা দিতে পারে।
10/11 এক্ষেত্রে পেনাইল ডপলার টেস্ট করে দেখা হয়, যৌনাঙ্গে ঠিকমতো রক্ত সংবহন হচ্ছে কি না। রক্ত অতি দ্রুত ফিরে আসছে (ভেনাস লিকেজ) কি না। এই দুই সমস্যা থাকলেও যৌনাঙ্গ শিথিল হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রেও চিকিৎসক ওষুধ দিয়ে বিষয়টি সারান।
11/11 শেষে মনে রাখতে হবে, সহবাসের ইচ্ছা কমে যাওয়া কোনও বিরাট সমস্যা নয়। কিন্তু এটির নিজে নিজে চিকিৎসা করা বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না। তাহলে বিপদ হতে পারে। আর গরমের অজুহাত দিয়ে সমস্যা থেকে চোখ ফিরিয়ে নেবেন না। তাতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।