গরমকালের যা কিছু ভালো জিনিস, তার মধ্যে একটি অবশ্যই তরমুজ। অন্তত ফলপ্রেমীদের কাছে তো বটেই। গ্রীষ্মের দাবদাহের মধ্যে যদি মুখে পড়ে ঠান্ডা তরমুজের টুকরো, তাহলে চট করে গরম নিয়ে যাবতীয় অভিযোগই মন থেকে হাওয়া হয়ে যায় কিছু ক্ষণের জন্য।
এহেন তরমুজ খাওয়ার সময়ে কি তার বীজগুলিও খেয়ে ফেলেন? সেগুলি পেটে গিয়ে কী ঘটায়? দেখে নেওয়া যাক।
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাবসার তরমুজের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রাচীন এই শাস্ত্রে তরমুজ নিয়ে বহু কথা বলা হয়েছে। কী কী বলছেন তিনি, দেখে নেওয়া যাক।
তরমুজের গুণ:
- তরমুজ শরীরে জলের ঘাটতি কমায়। ক্লান্তি কমায়।
- এর বহু পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- যাঁদের মূত্রত্যাগ করা নিয়ে নানা ধরনের সমস্যা বা কিডনিঘটিত নানা অসুখ আছে, তাঁদের জন্য তরমুজ উপকারী হতে পারে।
- হজম ক্ষমতা বাড়াতেও কাজে লাগে তরমুজ।
তরমুজ বেশি খাওয়ার সমস্যা:
- তরমুজ অন্য খাবার হজমে সাহায্য করলেও, নিজে দেরিতে হজম হয়। ফলে পেট ভার লাগতে পারে।
- তরমুজ বেশি খেলে গ্যাসের সমস্যাও হতে পারে।
কতটা তরমুজ খাওয়া উচিত:
- একবাটি কাটা তরমুজ খেতে পারেন।
- ভারী খাবার খাওয়ার পরে তরমুজ খাবেন না।
তরমুজ কখন খাওয়া উচিত:
- সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যে কোনও সময়ে তরমুজ খেতে পারেন।
- তবে দিনের আলো থাকতে থাকতে তরমুজ খেলে তা সহজে হজম হয়। তালই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে খেলে সবচেয়ে ভালো।
কারা তরমুজ খাবেন না:
যাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা রয়েছে তাঁরা এই ফলটি বেশি খাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খাবেন।
এবার আসা যাক, শেষ কথায়। তরমুজ খাওয়ার সময়ে পেটে চলে যায় বীজ।
তরমুজের বীজ খেলে কী হয়:
বিশেষজ্ঞ বলছেন, এতে linoleic acid, oleic acid, palmitic এবং stearic acids। এগুলি শরীরে গেলে কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উলটে অনেক লাভ হয়। শরীর ঠান্ডা হয়, হজম ক্ষমতা বাড়ে। এমনকী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরমুজের বীজ শুকিয়ে নিয়ে সেগুলি সেঁকেও খাওয়া যেতে পারে।