Sleeplessness Remedies: শরীরের ঠিক ৪ জায়গায় চাপ দিয়েই কাটানো যেতে পারে অনিদ্রার সমস্যা। জেনে নিন, কোন কোন জায়গা।
1/10 ঘুমের সমস্যা অতি পরিচিত একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীতে প্রতি তিন জনের মধ্যে একজন এই সমস্যায় ভোগেন। আধুনিক জীবনের অনেকগুলি বিষয় ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ হিসেবে কাজ করে। উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, ব্যথা, কিংবা কাজের চাপ, খাওয়ার অভ্যাসও রাত্রে ঘুমোতে বাধা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকেন, অনেকে আবার ধ্যান-প্রাণায়ামের সাহায্য নেন। কিন্তু তাতেও সুফল পাওয়া যায় না সব সময়ে।
2/10 নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে কিছু। সবচেয়ে ভালো হয় যদি, কোনও প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুমিয়ে পড়া যায়। আর এই কাজেই সাহায্য করতে পারে অ্যাকুপ্রেসার। খুব সহজেই ঘুমোনো যেতে পারে এর ফলে। কীভাবে? জেনে নিন।
3/10 অ্যাকুপ্রেশার হল এক ধরনের বিকল্প চিকিৎসাবিদ্যা যা শরীরের কিছু ‘প্রেশার পয়েন্ট’কে চিহ্নিত করে, এবং বিশ্বাস করে, সেই সব জায়গায় পরিমিত চাপ বা ‘প্রেশার’-এর মাধ্যমে শরীরের নানা রোগ সারিয়ে ফেলা যায়।
4/10 ‘জার্নাল অব পেইন অ্যান্ড সিম্পটম ম্যানেজমেন্ট’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে অ্যাকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ এডজার্ট আর্নস্ট ও ডাক্তার মেয়ং সু লি জানাচ্ছেন, শরীরের বিশেষ চারটি জায়গায় দিনে যদি মাত্র এক মিনিট করে আঙুলের সাহায্যে মৃদু চাপ সৃষ্টি করা যায়, তাহলেই রাত্রে গভীর ঘুম হবে। কোন চারটি জায়গা? জেনে নেওয়া যাক।
5/10 কবজির হাড়ের ঠিক পাশে: এই জায়গা অন্য হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে এক মিনিটের জন্য মৃদু ভাবে চেপে ধরুন এক মিনিটের জন্য। দুই হাতের কবজিতেই এইভাবে চাপ দিন। এর ফলে ঘুম হতে পারে দারুণ ভাবে।
6/10 হাতের তালুর ঠিক তিন আঙুল নীচে কবজির মাঝামাঝি: হাতের তালুর তিন আঙুল নীচের অংশটি বেছে নিন। তার পরে দু’হাতেরই এই অংশে এক মিনিটের জন্য মৃদু চাপ রাখুন। দেখবেন, রাতের ঘুম হয়তো দারুণ গভীর হবে।
8/10 বুকের ঠিক মাঝখানে: পাঁজরের একেবারে নীচের হাড় থেকে চার আঙুল উপরে বুকের ঠিক মাঝামাঝি চেপে রাখুন এক মিনিটের জন্য। এতেও অনিদ্রার সমস্যা কেটে যেতে পারে।
9/10 দিনে একবার এক মিনিট করে ব্যয় করতে হবে চারটি জায়গার জন্য। অর্থাৎ মোট চারটি মিনিট। মাত্র চার মিনিটেই আপনি নিশ্চিত করে ফেলতে পারবেন রাত্রের গভীর ঘুম। এমনটাই দাবি ডাক্তার আর্নস্ট ও ডাক্তার লি-র। নিজেরাও যাচাই করে নিতে পারেন। বিশেষ করে এর যখন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, তখন ভয়ও নেই।
10/10 তবে মনে রাখবেন, অনিদ্রার সমস্যা বাড়াবাড়ি জায়গায় গেলে টিকিৎসকের সাহায্য নিতেই হবে। সেক্ষেত্রে আর এই সব বিকল্প পদ্ধতি খুব একটা কাজে না লাগতেও পারে। সেটির কথা মনে রাখতে হবে।