নিউইয়র্কের পর্ব চুকিয়ে মার্কিন সফরের দ্বিতীয় পর্বে ওয়াশিংটনে গিয়ে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য ওয়াশিংটনের আকাশে জড়ো হয়েছিল কালো মেঘ। ভারী বৃষ্টির মধ্যেই ওয়াশিংটনের মাটিতে আজ পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই বৃষ্টির মধ্যে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেখিয়ে মোদীকে স্বাগত জানানো হয়। বেস অ্যান্ড্রুস-এ মোদী পা রাখার পরই ভারত ও আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত বেজে ওঠে। নরেন্দ্র মোদী সেই সময় রেনকোট পরে সেখানে দাঁড়িয়ে। এরপর মোদীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এদিকে বেস অ্যান্ড্রুস থেকে মোদী চলে যান উইলার্ড ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে। সেখানে ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা মোদীকে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
এরপর হোয়াইট হাউজে যান মোদী। সখানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। উল্লেখ্য, দুই রাষ্ট্রনেতা একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছেন বিগত কয়েক বছরে। তবে এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ আলোচনার জন্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন তাঁরা। এই বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা। এদিকে এই বৈঠকের পর মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরই বাইডেনের আমন্ত্রণে স্টেট ডিনারে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই স্টেট ডিনার নিয়ে কথা বল গিয়েই জাপানের কোয়াড বৈঠকে মোদীর থেকে অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন বাইডেন। তিনি জানিয়েছিলেন, এই নৈশভোজে অংশ নিতে তাঁর কাছে এত মানুষ আবেদন জানিয়েছেন যে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন। এদিকে বাইডেনের আমন্ত্রণ রক্ষার পর আগামিকাল ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের আমন্ত্রণে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন মোদী।
এদিকে ৩ বিলিয়ন ডলার দিয়ে আমেরিকা থেকে ৩১টি এমকিউ-৯বি ড্রোন কিনতে চলেছে ভারত। মোদী ওয়াশিংটনে থাকাকালীনই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে চলেছে। প্রথম দফায় পাওয়া ১০টি এমকিউ-৯বি ড্রোন পাবে ভারত। তবে এই ড্রোনগুলি সশস্ত্র হবে না। যদিও এগুলি অস্ত্র বহনে সক্ষম হবে। এরপরে ধাপে ধাপে সশস্ত্র ড্রোন হাতে পাবে ভারত। আমেরিকা থেকে ১৫টি সি গার্ডিয়ান ড্রোন কিনবে এবং ১৬টি স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোন কিনবে ভারত। এই ৩১টি ড্রোনের মধ্যে নৌসেনাকে দেওয়া হবে ১৫টি ড্রোন। ৮টি করে ড্রোন পাবে সেনা ও বায়ুসেনা।