বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Pragyan and Vikram's Chance to Wake up: 'রাত নামলে সকালও হবে', আর কি ঘুম ভাঙবে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের? কীসের আশায় বসে ইসরো
Pragyan and Vikram's Chance to Wake up: 'রাত নামলে সকালও হবে', আর কি ঘুম ভাঙবে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের? কীসের আশায় বসে ইসরো Updated: 25 Sep 2023, 07:21 AM IST Abhijit Chowdhury গত ২২ সেপ্টেম্বর ফের সকাল হয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। সূর্যের আলো পড়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। এই আবহে বিগত দু'দিন ধরে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে জাগানোর চেষ্টা করে চলেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এখনও এতে সাফল্য আসেনি ঠিকই। তবে আশা শেষ হয়ে যায়নি। 1/6 ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে প্রজ্ঞান ও বিক্রমের ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা। বিগত দু'দিনে ইসরোর বিজ্ঞানীদের ডাকে সাড়া দেয়নি চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ও রোভার। তবে এখনই হাল ছাড়ছে না ইসরোর বিজ্ঞানীরা। বরং আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁরা প্রজ্ঞান ও বিক্রমকে জাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ও রোভার জেগে উঠলে তা 'বোনাস' হবে বলে জানান ইসরোর বিজ্ঞানীরা। 2/6 এই নিয়ে ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ বলেন, 'আমরা জানি না যে কখন চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞান ও বিক্রম জেগে উঠবে। হয়ত দেখা গেল যে সূর্যাস্তের আগেরদিন ঘুম ভেঙেছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার ও রোভারের। আমরা তাই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। যদি আমরা ল্যান্ডার ও রোভারের ঘুম ভাঙাতে পারি, তাহলে তা এক বড় অর্জন হবে আমাদের জন্য।' ইসরোর বিজ্ঞানীদের আশা, সূর্যের তাপ প্রজ্ঞান ও বিক্রমের যন্ত্রগুলিকে উষ্ণ করে তুলবে এবং ব্যাটারিগুলিকে রিচার্জ করবে। তাহলেই ফের আবার চালু হতে পারে রোভার ও ল্যান্ডার। 3/6 প্রসঙ্গত, গত ২৩ অগস্ট চাঁদে অবতরণের পর ২ সেপ্টেম্বর রোভারকে 'ঘুম' পাড়িয়ে দেয় ইসরো। এদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমকেও 'ঘুম' পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, রোভারের পাশেই 'ঘুমিয়ে' পড়েছে ল্যান্ডার। তবে এর রিসিভার চালু রাখা হয়েছে। তবে সূর্যাস্তের পর চাঁদের দক্ষিণ মেরুর তাপমাত্রা হু হু করে নেমে যায়। হিমাঙ্কের নীচে প্রায় ২০০ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছে যায় পারদ। এই আবহে বিজ্ঞানীদের আশা, দক্ষিণ মেরুতে আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্র বাড়লে ফের সচল হয়ে উঠতে পারে প্রজ্ঞান ও বিক্রম। 4/6 এদিকে ইসরো আগেই জানিয়েছিল, নিজের মিশনের লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়ে সফল হয়েছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। বিক্রমে রয়েছে 'চন্দ্র সারফেস থার্মো-ফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট' বা ChaSTE নামক একটি পেলোড। যা চাঁদের তাপমাত্রা খতিয়ে দেখেছে। তাছাড়া বিক্রমে রয়েছে লুনার সেসমিক অ্যাক্টিভিটি প্রোব বা ILSA নামক একটি পেলোড। এই ইলসা-র সেন্সর মহাজাগতিক গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রেখেছে। এছাড়া বিক্রমে রয়েছে লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর অ্যারে, রেডিও অ্যানাটমি অফ মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নস্ফিয়ার অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার বা 'রম্ভা'। রম্ভা চাঁদের মাটিতে থাকা প্লাজমার ঘনত্ব মেপছে। 5/6 ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়, ঘুমোতে যাওয়ার আগে সফল ভাবে 'হপ এক্সপেরিমেন্ট' সম্পন্ন করেছে বিক্রম। অর্থাৎ, চাঁদের মাটি থেকে লাফিয়ে উঠে দ্বিতীয়বারের জন্য সফল ভাবে সফট ল্যান্ডিং বা অবতরণ করল বিক্রম। ল্যান্ডারকে প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় ওড়ানো হয়। লাফ দিয়ে আগের জায়গায় থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার দূরে সফল ভাবে অবতরণ করে বিক্রম। এই সাফল্যের সুদূরপ্রসরিত তাৎপর্য রয়েছে, যা নিয়ে আভাস দিয়েছে ইসরো। 6/6 প্রজ্ঞানও অনেক ছোটাছুটি করেছে চাঁদে। চন্দ্রযান ৩-এর রোভারটি চাঁদে অক্সিজেন, সালফারের মতো বিভিন্ন পদার্থ থাকার কথা জানিয়েছে। প্রজ্ঞানে থাকা LIBS এবং APXS পেলোডগুলি অনবরত কাজ করে গিয়েছিল। এদিকে প্রজ্ঞানের সঙ্গে রয়েছে একাধিক স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। সেই ক্যামেরা দিয়েই চাঁদের মাটির ছবি পাঠিয়েছে প্রজ্ঞান। আর সেই ক্যামেরা দিয়েই নিজের বাহন বিক্রমেরও ছবি তুলে পাঠায় প্রজ্ঞান।