কয়েকদিন আগেই জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি এসেছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। ফেরার পথে তাঁর বিমানে বিভ্রাট দেখা দিয়েছিল বলে অতিরিক্ত একদিন দিল্লিতে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। তবে এবার অভিযোগ উঠল, ভারতে অবতরণের সময় তাঁর বিমানে বিপুল পরিমাণ কোকেন ছিল। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করল কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
1/6 দু'দিনের জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দিল্লি এসেছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। তবে ফেরার সময় ঘটে বিপত্তি। তাঁর এয়ারবাস বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। যার জেরে নির্ধারিত সময়ের ২৪ ঘণ্টারও বেশি পরে দেশে ফেরার বিমানে ওঠেন ট্রুডো। এই আবহে ভারতের তরফে তাঁকে এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে তা নাকি তিনি নিতে চাননি। আর এবার অভিযোগ উঠল, কানাডার প্রধানমন্ত্রী যখন ভারতে অবতরণ করেছিলেন, তখন তাঁর বিমানে বিপুর পরিমাণ কোকেন ছিল।
2/6 সুদানে নিযুক্ত প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপক বোহরা অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডোর বিমানে কোকেন থাকা নিয়ে। উল্লেখ্য, জি২০ সম্মেললনের নৈশভোজে অনুপস্থিত ছিলেন ট্রুডো। এই আবহে দীপক বলেন, 'লোকে বলছে তিনি নাকি নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তাই তিনি প্রেসিডেন্টের আহ্বানে নৈশভোজে যাননি।' এদিকে দীপক বোহরা আরও বলেছিলেন, 'কানাডার প্রধানমন্ত্রীর মাথাও আছে নাকি? ও একটা শিশু। তাই ওর মাথায় কখন কী চলছে তা বলা মুশকিল।'
3/6 দীপক বোহরা আরও বলেছিলেন, 'জাস্টিন ট্রুডো নিজের জীবনে বড় একা হয়ে পড়েছেন। এখন তিনি নিজের দেশবাসীকে দেখাতে চান যে তিনি কানাডিয়ান ব়্যাম্বো। তাঁর আচরণ প্রমাণ করে দিচ্ছে যে তিনি স্বাভাবিক স্থিতিতে নেই। কানাডার নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা পরিষেবা স্থগিত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।'
4/6 এই আবহে দীবক বোহরার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ খোলে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দফতর। ট্রুডোর অফিসের তরফে বলা হয়, এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। কীভাবে গুজব রটানো হয়, তার অন্যতম উদাহরণ এই অভিযোগ। তবে ট্রুডোর 'সুরেই' দীপক বোহরা অভিযোগ করেন, 'আমি বিশ্বাসযোগ্য গুজব শুনেছি যে ভারতে অবতরণের পর নিরাপত্তারক্ষীদের কুকুররা ট্রুডোর জিনিপত্রে কোকেন খুঁজে পেয়েছিল।'
5/6 এয়ারবাস বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সূচির বাইরে আরও দু'দিন দিল্লিতে কাটাতে হয় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি গত ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লি এসেছিলেন। ১১ সেপ্টেম্বর তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে বিমান বিভ্রাটের জেরে তা হয়নি। ১১ তারিখ গোটা দিন দিল্লিতে থাকার পর ১২ তারিখ দুপুরে দিল্লি থেকে কানাডার উদ্দেশে উড়ে গিয়েছিলেন ট্রুডো।
6/6 এরই মধ্যে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থা থেকে ভারতের তরফে নাকি এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এই বিমানটি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বিমান। এটিকে 'উড়ন্ত তাজমহল' বলে ডাকা হয়। তবে জাস্টিন ট্রুডো নাকি ভারতীয় বিমানে চেপে কানাডায় ফিরে যেতে অস্বীকার করেন। তাঁর দলের তরফে জানানো হয়, তাঁদের বিমান ঠিক হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষা করবেন।