বাংলায় কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাত শিবিরকে আক্রমণ শানিয়ে বাংলার ৪২টি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মমতা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ওপরে সবথেকে বেশি 'রাগ' তৃণমূলের। এই আবহে 'ড্যামেজ কন্ট্রোলে' কংগ্রেস হাইকমান্ড।
1/5 এর আগে চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। পরে ইমেল করেছিলেন। মমতার উদ্দেশে তাঁর আবেদন ছিল, কিছুক্ষণের জন্য হলেও যাতে তিনি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় আসেন। তবে মমতা ইতিমধ্যেই একা লড়াই করার ঘোষণা করেছেন। এই সবের মাঝেই নাকি বৃহস্পতিতে মমতাকে ফোন করেন কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে।
2/5 এদিকে মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ। তিনিই জানালেন খাড়গের সঙ্গে মমতার কী কথা হয় ফোনে। সাংবাদিকদের জয়রাম রমেশন বলেন, 'কংগ্রেস সভাপতি ফোনে কথা বলেছেন মমতার সঙ্গে। তিনি মমতাকে জানিয়েছেন যে আমরা একটা পথ খুঁজে বের করবই। তারণ তাঁর লক্ষ্যই হল ইন্ডিয়া ব্লকের লক্ষ্য। আমরা বিজেপিকে হারাতে চাই বাংলা এবং গোটা দেশে। সেটাই চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।'
3/5 এদিকে ফের একবার জয়রাম রমেশ বলেন, রাহুলের পদযাত্রায় মমতার উপস্থিতি খুব বেশি কাম্য। তাঁর কথায় ধরা পড়ে, মমতা ছাড়া যেন কংগ্রেস অন্ধকার দেখছে। জয়রাম বলেন, 'মমতাকে ছাড়া আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে পারব না। ইন্ডিয়া ব্লকের অবিচ্ছেদ্য এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ তিনি। এই ইন্ডিয়া ব্লকের বাস্তবায়নে তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।'
4/5 রমেশ বলেন, 'আমরা চাই তৃণমূল আসুক ও ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় অংশ নিক, বিশেষত মুখ্যমন্ত্রী নিজে আসুন। আমি জানি তাঁর প্রচুর কাজ, তবুও যদি তিনি ১০-১৫ মিনিটের জন্যও আসতে পারেন, তাহলে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার মাহাত্ম্য আরও বাড়বে।' এরপর একযুগ পুরনো কথার স্মৃতিচারণ করে মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন রমেশ। বলেন, 'আমরা আজও মনে আছে ২০১১ সালে তৎকালীন ইউপিএ ২ সরকারের আমলে আমরা জমি অধিগ্রহণ আইন এনেছিলাম, ২০১৩ সালে তা পাশ হয়, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থন না দিলে সেটি পাশ হত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা খুবই সম্মান করি।'
5/5 এর আগে রাহুলের যাত্রা নিয়ে মমতা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছিলেন, 'আমরা ইন্ডিয়া জোটে আছি। তাও আমাকে জানানো হয়নি যে আমার রাজ্যে পদযাত্রা করা হবে। তাই বাংলায় ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। সর্বভারতীয় স্তরে কী করব না করব সেটা নির্বাচনের পরে ভাবব। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ দল। আমরা বিজেপিকে হারানোর জন্য যা করার করব।'