বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Load shedding in Kolkata: রেকর্ড ভাঙছে কলকাতার বিদ্যুতের চাহিদা, লোডশেডিংয়ের জেরে বেশি ভুগছে শহরতলি
Load shedding in Kolkata: রেকর্ড ভাঙছে কলকাতার বিদ্যুতের চাহিদা, লোডশেডিংয়ের জেরে বেশি ভুগছে শহরতলি Updated: 18 Jun 2023, 03:44 PM IST Abhijit Chowdhury বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই লোডশেডিংয়ের জেরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কলকাতাবাসীকে। এই আবহে বারবারই গ্রাহকদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে কলকাতার বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা সিইএসসি। হিসেব বলছে, এবছর বিদ্যুতের চাহিদাও আগেরবারের থেকে অনেকটাই বেশি। 1/5 কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় নিয়ম করেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে। সিইএসসি-র আওতায় থাকা শহরতলির অবস্থা আরও করুণ। উত্তরে দমদম, নাগেরবাজার, বেলঘরিয়া হোক কি দক্ষিণে হরিদবপুর, বাঁশদ্রোণী। এই সহব জায়গাতেই লোডশেডিংয়ে নাজেহাল আম জনতা। 2/5 সারা দিনে কাজ শেষে ঘুমোতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে কারেন্ট চলে যাচ্ছে। ফের পাখা ঘুরতে শুরু করছে ভোরের দিকে। সারা রাত গরমে ঘামতে ঘামতে শুয়ে থাকছেন মানুষজন। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে, সিইএসসি-কে ফোন করলেও কেউ ফোন তোলে না। গ্রাহকদের সমস্যা শোনার জন্য কেউ নেই। যদিও সিইএসসি এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছে এসি এবং সাধারণ মানুষকে। 3/5 এবছর এমনিতেই অনেকটা গরম পড়েছিল। এই আবহে গতবারের তুলনায় এবছর সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা লাফিয়ে বেড়েছে। গতবছর যেখানে কলকাতায় একদিনে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২৩৩৯ মেগাওয়াট। এবছর সেই সর্বোচ্চ চাহিদা এখনও পর্যন্ত ২৬০৬ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। শুক্রবারই সিইএসসি এলাকায় ২৬০৬ মেগাওয়াটে গিয়ে ঠেকেছিল বিদ্যুতের চাহিদা। 4/5 এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২৩৪৯ মেগাওয়াট। বৃহস্পতিবার দিনের বেলা সেই চাহিদা ছিল ২৫৮৫ মেগাওয়াট। এদিকে শুক্রবার দিনের বেলায় যেখানে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২৬০৬ মেগাওয়াট। রাতে সেই চাহিদা গিয়ে ঠেকে ২৩২৪ মেগাওয়াট। এই আবহে সিইএসসির বক্তব্য, বরাদ্দ মাত্রার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারের জেরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন হচ্ছে। 5/5 এদিকে ফের একবার এসি-র তত্ত্ব তুলে ধরে সিইএসসি-র অভিযোগ, এবছর কলকতায় প্রায় আড়াই লাখ এসি বিক্রি হয়েছে। তবে এসি-র লাইন নেওয়ার আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ৫৫ হাজার। এই আবহে সিইএসসি-র দাবি, বরাদ্দের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে শহরে চলছে অধিকাংশ এসি। এই কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।