বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Nuh Violence Explained: ৭৯% মুসলিমের বাস, হিংসা প্রবণ হলেও নুহ জেলায় গত ৫ বছরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ০! এখন কেন এই কাণ্ড?
Nuh Violence Explained: ৭৯% মুসলিমের বাস, হিংসা প্রবণ হলেও নুহ জেলায় গত ৫ বছরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ০! এখন কেন এই কাণ্ড? Updated: 02 Aug 2023, 03:13 PM IST Abhijit Chowdhury হরিয়ানার নুহ জেলা থেকে গত পরশু থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গায়। এর জেরে দাঙ্গা হয়েছে গুরুগ্রামেও। মৃতের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে বিগত পাঁচ বছরে এই প্রথম দাঙ্গা হল এই হিংসা প্রবণ জেলায়। জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি অপরাধ হয় এখানে। তবে দাঙ্গা খুব কম। 1/5 ২০১১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে হরিয়ানার নুহ জেলার ৭৯.২ শতাংশই মুসলিম। যা কি না কার্গিলের থেকেও বেশি। কার্গিলের জনসংখ্যার ৭৬.৯ শতাংশ মুসলিম। কাশ্মীরের জেলাগুলি বাদে একমাত্র অসমের ধুবরিতে নুহ জেলার থেকে বেশি (শতাংশের নিরিখে) মুসলিম রয়েছে। তবে এই জেলায় বিগত পাঁচ বছরে একটাও দাঙ্গা হয়নি। তবে এনসিআর-এর মধ্যে থাকা এই জেলাতেই সবচেয়ে বেশি অপরাধ হয়। 2/5 আয়ের দিক থেকে এই জেলা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই জেলায় সব থেকে বেশি হিংসার ঘটনা শত্রুতা থেকে হয়েছে। মোট ৫৮৫টি এমন কেস হয়েছে। এরপরেই তালিকায় আছে জমি বিবাদ। এর জন্যে হিংসা হয়েছে ৫৭৫ বার। এরপর পারিবারিক কারণে হিংসা হয়েছে ৩৭৬। তবে বিগত ৫ বছরে ধর্মীয় কারণে বা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণ শূন্য। তবে গত পরশু থেকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাই শুরু হয়েছে এই জেলায়। 3/5 প্রসঙ্গত, গত সোমবার একটি ধর্মীয় মিছিলকে আটকানোর অভিযোগে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হরিয়ানার নুহ্ এবং গুরুগ্রাম জেলায়। উল্লেখ্য, হরিয়ানার বজরং দল কর্মী মনু মানেসারকে কেন্দ্র করেই সেখানের নুহ্ এবং গুরুগ্রাম জেলায় গতকাল হিংসা ছড়ায়। সন্ধ্যার দিকে গুরুগ্রাম সোহনা হাইওয়েতে হিংসা ছড়াতে থাকে। একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধর্মস্থানেও হামলা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও চলে ইট বৃষ্টি। 4/5 উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে ভিওয়ানিতে দুই মুসলিম যুবককে খুন করার ঘটনায় মনু পলাতক। সেই মনু ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেছিল এই ধর্মীয় মিছিলে সে থাকবে। এই আবহে গুরুগ্রাম আলওয়ার হাইওয়েতে এই যাত্রা থামান কয়েকজন। এরপরই মিছিলকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। সরকারি ও বেসরকারি গাড়িকে লক্ষ্য পাথর ছোঁড়া হয়। সেই সময় পাশের এক শিবমন্দির চত্বরে আশ্রয় নেন প্রায় ২৫০০ মানুষ। 5/5 এদিকে মঙ্গলবার রাতে আবার নতুন করে হিংসা ছড়ায় হরিয়ানায়। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গুরুগ্রামের সেক্টর ৭০-তে একাধিক দোকান এবং বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে আগুন ধরানো হয়, সেটার ঠিক পাশেই একটি আবাসন আছে। তবে শুধু রাতে নয়, মঙ্গলবার অন্ধকার নামার আগেও গুরুগ্রামে অশান্তি ছড়ায়। বাদশাপুরে কমপক্ষে তিনটি দোকানে লুঠপাট চালানো হয়। পতৌদি চকের কাছে একের পর এক দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।