বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Adultery: পরকীয়াকে ফের অপরাধের আওতায় আনার পক্ষে সায় সংসদীয় কমিটির, সুপারিশ কেন্দ্রের কাছে
Adultery: পরকীয়াকে ফের অপরাধের আওতায় আনার পক্ষে সায় সংসদীয় কমিটির, সুপারিশ কেন্দ্রের কাছে Updated: 15 Nov 2023, 09:45 PM IST Sritama Mitra সরকারের কাছে কমিটির সুপারিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় ৪৯৭ ধারায় ফের পরকীয়াকে অপরাধের আওতায় আনা হোক। এর আগে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই পরকীয়াকে অপরাধের আওতা থেকে মুক্ত রেখেছিল। 1/5 পাঁচ বছর আগে, পরকীয়াকে ফৌজদারি অপরাধের আওতা থেকে মুক্তি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার ফের পরকীয়াকে অপরাধের আওতায় আনার সুপারিশ এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির তরফে। দণ্ড সংহিতা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির রিপোর্টে এই সুপারিশ করা হয়েছে। সংসদীয় কমিটির এই সুপারিশ গিয়েছে কেন্দ্রের কাছে।
2/5 সরকারের কাছে কমিটির সুপারিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় ৪৯৭ ধারায় ফের পরকীয়াকে অপরাধের আওতায় আনা হোক। এর আগে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই পরকীয়াকে অপরাধের আওতা থেকে মুক্ত রেখেছিল। প্রস্তাবিত ন্যায় সংহিতায় এভাবেই পরকীয়াকে রাখার পক্ষে কমিটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় সমাজে বিয়ে একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠান। তার পবিত্রতাকে রক্ষা করা জরুরি। ’ 3/5 সরকারের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি এটি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অমান্য করার সামিল। এদিকে, সরকারের দাবি, ভারতীয় দণ্ডবিধিকে ঔপনিবেশিকতামুক্ত করতেই এমন সুপারিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও সাক্ষ্য অধিনিয়ম বিলটি লোকসভায় পেশ হতেই তা কমিটির কাছে পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। 4/5 এদিকে কমিটির তরফে যে রিপোর্ট রাজ্যসভায় পেশ করা হয়েছে, সেখানে লিঙ্গ নিরপেক্ষতার প্রসঙ্গ তুল ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বিয়ের মতো প্রতিষ্ঠানকে রক্ষার্থে এই দিকটি ন্যায় সংহিতার মধ্যে আনা উচিত।’ এদিকে, বিরোধীদের দাবি প্রথম থেকেই তিনটি বিল নিয়ে তাড়াহুড়োয় রয়েছে সরকার। সাধারণের জীবনের সঙ্গে জড়িত এই বিলগুলি নিয়ে যতটা আলোচনা করা দরকার ছিল, ততটা করা হয়নি বলে অভিযোগ তাদের। 5/5 এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের আগে দণ্ডবিধিতে ওই সংক্রান্ত ৪৯৭ ধারাটি অসংবিধানিক বলে বর্ণিত ছিল। তাতে বলা ছিল, কোনও ব্যক্তি কোনও বিবাহিত মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়া সম্পর্ক স্থাপন করলে ওই মহিলা বা পুরুষের পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা সম্পর্কে লিপ্ত উভয়েরই হতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, ব্রিটিশদের তৈরি করা এই আইন সেকেলে, বৈষম্যমূলক। এই আইন মহিলাদের মর্যাদাকে খর্ব করে বলে উল্লেখ করেছিল তৎকালীন সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।