এর আগে একাধিকবার পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধমক খেতে হয়েছে রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে। এই আবহে আদালতের কাছে ক্ষমা চাইলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। অবশেষে আজ, সংবাদপত্রে 'জনসাধারণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা' করলেন পতঞ্জলির সহপ্রতিষ্ঠাতা রামদেব এবং বালকৃষ্ণ।
1/4 পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় বুধবার ২৪ এপ্রিল সংবাদপত্রে নতুন করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা রামদেব এবং বালকৃষ্ণ। এর আগেও আদালতের কাছে একাধিকবার ক্ষমা চেয়েছিলেন রামদেব এবং বালকৃষ্ণ। তবে তাদের ক্ষমা চাওয়ার আকার এবং ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল শীর্ষ আদালত। এই আবহে আজ জনসমক্ষে ক্ষমা চাইলেন রামদেব।
2/4 পতঞ্জলির সেই 'জনসাধারণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনায়' লেখা, 'ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের সামনে মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ অমান্য করার জন্য নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইছি। আমরা ২২.১১.২০২৩ তারিখের সভা/সংবাদ সম্মেলন করার জন্য নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমাদের বিজ্ঞাপন প্রকাশের ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এই ধরনের ত্রুটির পুনরাবৃত্তি হবে না। আমরা আদালতের নির্দেশনা মেনে চলার অঙ্গীকার করছি।'
3/4 এর আগে রামদেব ও বালকৃষ্ণ সুপ্রিম কোর্টে 'নিঃশর্ত ও নিঃশর্ত ক্ষমা' চেয়েছিলেন। তবে পতঞ্জলির সহ-প্রতিষ্ঠাতাদের জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই আবহে সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন রামদেব এবং বালকৃষ্ণ। তবে সেই বিজ্ঞাপনের আকারে অসন্তুষ্ট হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
4/4 গতকাল এই মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ রামদেব এবং বালকৃষ্ণ প্রশ্ন করেন, 'আপনারা সাধারণত সংবাদপত্রে যে বিজ্ঞাপন দেন, এটা কি সেই একই মাপের বিজ্ঞাপন?' এদিকে পতঞ্জলির পক্ষের আইনজীবী মুকুল রোহতগি জানান, দেশের ৬৭টি সংবাদপত্রে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। পরে বেঞ্চ জানায়, রামদেব ও বালকৃষ্ণের ক্ষমা চাওয়া সংক্রান্ত বিষয়টি ৩০ এপ্রিল বিবেচনা করা হবে। এই আবহে আজ ফের বড় আকারে বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে ক্ষমা চাইলেন রামদেব এবং বালকৃষ্ণ।