বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Tajpur Port work by Adani Recent Update: আদানি কাণ্ডে আক্রমণমুখী হয়েছিল তৃণমূল, এরপর তাজপুর বন্দরের কাজ কতদূর?
Tajpur Port work by Adani Recent Update: আদানি কাণ্ডে আক্রমণমুখী হয়েছিল তৃণমূল, এরপর তাজপুর বন্দরের কাজ কতদূর? Updated: 21 Jul 2023, 03:29 PM IST Abhijit Chowdhury আদানিকে নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পরই এই ইস্যুতে ধনকুবেরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই ঘটনার আগেই তাজপুর বন্দর নিয়ে সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল আদানির। এই আবহে সেই বন্দরের কাজ নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। তবে এবার সামনে এল সেই সংক্রান্ত ইতিবাচক এক আপডেট। 1/6 আদানিকে নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই বিরোধীরা সুর চড়িয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসও 'বিজেপি ঘনিষ্ঠ' শিল্পপতিকে তোপ দেগেছিল। তবে এই ঘটনার আগেই তাজপুর বন্দর নিয়ে সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল আদানির। গৌতম আদানি বাংলায় এসে দেখা করে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট আসার পরই সেই বন্দরের কাজ নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। 2/6 রিপের্ট অনুযায়ী, তাজপুর বন্দরের কাজ স্বাভাবিক গতিতেই এগোচ্ছে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট বা রাজনৈতিক গলাবাজির জেরে বন্দরের কাজে কোনও বিঘ্ন ঘটেনি। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য সিংহভাগ জমিই সরকারের থেকে মিলবে। বাকি জমি অধিগ্রহণের জন্য কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নয়া গ্রিনফিল্ড প্রযুক্তিতে এই বন্দর তৈরিতে খরচ হবে ১৫ হাজার কোটি। তাছাড়াও আরও ১০ হাজার কোটি বিনিয়োগ হওয়ার কথা পরিকাঠামো খাতে। 3/6 তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দরের বরাত পেয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। তবে আদানির সঙ্গে মোদী সরকারের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। হিন্ডেনবার্গ কাণ্ডের পর মমতা বলেছিলেন, ‘দেশ কয়েক জন চালাচ্ছে। ব্যাঙ্কগুলিতে টাকা থাকছে না। একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। অথচ কিছু মানুষ প্রচুর টাকা সংগ্রহ করছেন। এলআইসি, স্টেট ব্যাঙ্ক জ়িরো হয়ে গিয়েছে। আদানি থেকে মেহুল কেন্দ্রের ভালো বন্ধু। বিজেপি সরকার শুধুমাত্র তাদের জন্য কাজ করছে।’ 4/6 মমতার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জল্পনা তৈরি হয়েছিল তাজপুরের বন্দর নিয়ে। এদিকে বাজেট অধিবেশনের প্রাক্কালে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আদানি কাণ্ডে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছিল দিল্লিতে। এসবিআই এবং এলআইসি-র অফিসের সামনে বিক্ষেভ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। আদানির বিরুদ্ধে বারংবার মুখ খুলেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এই সবের মাঝেই তাজপুর বন্দরের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে বাংলার শাসকদলের রাজনৈতিক কর্মসূচির কোনও প্রভাব পড়েনি তাজপুর বন্দরে আদানিদের ওপর। 5/6 উল্লেখ্য, গতবছরের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকেই তাজপুর বন্দরে আদানিদের বিনিয়োগ নিয়ে কথা চলছিল। পরে মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতভাবে এই প্রকল্প আদানিদের দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো তাজপুর বন্দরের সম্মতিপত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির পুত্র করণ আদানির হাতে। মমতা নিজে সেই কাজ করেছিলেন। তবে রাজনৈতিক কারণে এখন সেই আদানির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মমতা। 6/6 গত অক্টোবরে সম্মতিপত্র হাতে পেলেও তাজপুর বন্দরের পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ কিছুটা ধীর গতিতে চলছি এবছরের শুরুতে। সরকারি জমি বাদে অন্য যে জমি বন্দরের জন্য প্রয়োজন, তা অধিগ্রহণের জন্য কাজ অবশ্য শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতা থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে তাজপুরের কাছে এই গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে ওঠার কথা। এতে কাজ পাওয়ার কথা ২৫ হাজার জনের।