মুম্বই ইন্ডিয়ান্স যেন ‘জুজু’ চেন্নাই সুপার কিংসের। কারণ সিএসকে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেই বারবার করে আসছে। এর আগে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের নজির ছিল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেই। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের নজিরও বৃহস্পতিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধেই গড়ল চেন্নাই সুপার কিংস। এ দিন সিএসকে ১৬ ওভারে মাত্র ৯৭ রানে অল আউট হয়ে যায়। যা আইপিএলের ইতিহাসে চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। মজার বিষয়, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেই নিজেদের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোরও করেছে চেন্নাই।
২০১৩ সালে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে মাত্র ৭৯ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। সে বার রান তাড়া করতে নেমে মুম্বইয়ের ১৩৯ রানের জবাবে ৭৯-তে অল আউট হয়ে গিয়েছিল তারা। যা চেন্নাইয়ের সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৯ সালেও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেই তাদের করা ১৫৫ রান তাড়া করতে নেমে ১০৯ রানে অল আউট হয়েছিল চেন্নাই। এটি তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। তবে শুরুতে ব্যাট করে ৯৭ রানে অল আউট হওয়াটা, চেন্নাইয়ের প্রথম সর্বনিম্ন স্কোর।
এখানেই শেষ নয়। ১০০-এর নীচে চেন্নাই ২ বার অল আউট হয়েছে। আর দু'বারই তারা মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেই ১০০-র নীচে অল আউট হয়েছে। মুম্বই কাঁটায় বারবার ক্ষতবিক্ষত হয়ে হয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির সিএসকে-কে।
আরও পড়ুন: নয়া বিতর্ক- বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চলল না DRS,খারাপ সিদ্ধান্তের শিকার কনওয়ে
এ দিন টসে জিতে মুম্বইয়ের অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় চেন্নাইকে। সিএসকে-র ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আউট হন ডেভন কনওয়ে। আসলে চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই বোলার ড্যানিয়েল স্যামস এলবিডব্লিউ-এর জন্য আবেদন জানালে আউট দিয়ে দেন ফিল্ড আম্পায়ার। আর সেই সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ডিআরএস নিতে পারেননি কনওয়ে। যার নিটফল, আউট না হওয়া সত্ত্বেও সাজঘরে ফিরতে হয় কনওয়েকে।
কনওয়ে আউট হওয়ার পরেই যেন চেন্নাইয়ের সব কিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। একের পর এক উইকেট হারাতে শুরু করে সিএসকে। প্রথম ওভারেই মইন আলিরও উইকেট হারায় তারা। দ্বিতীয় ওভারে আবার আউট হন রবিন উথাপ্পা। ডিআরএস তখনও চালু না হওয়ায় উথাপ্পা রিভিউ নিতে পারেননি। যদিও তিনি পরিষ্কার আউট ছিলেন। চেন্নাইয়ের ইনিংসে ১০ বল হয়ে যাওয়ার পরে ডিআরএস প্রযুক্তি চালু হয়। যা নিয়ে চলছে তীব্র বিতর্ক।
এ দিকে পাওয়ার প্লে-তেই ৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে চেন্নাই। ধোনির ৩৩ বলে ৩৬ রান ছাড়া, কেউ ১৫ রানের গণ্ডিই টপকাতে পারেননি। ডোয়েন ব্র্যাভো করেছেন ১২। যা চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। অম্বাতি রাইডু এবং শিবম দুবে করেছেন ১০ করে। বাকিরা আয়ারাম গ্যায়ারাম। দুই অঙ্কের ঘরেই কেউ পৌঁছতে পারেননি। এর চেয়ে বরং অতিরিক্ত রান বেশি দিয়েছে মুম্বই। ১৫ রান রোহিতের দল অতিরিক্ত দেয়।
মুম্বইয়ের ড্যানিয়েল স্যামস ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রিলে মেরেডিথ এবং কুমার কার্তিকেয়। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ এবং রমনদীপ সিং। একটি রান আউট হয়েছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।