শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ রান। মহেন্দ্র সিং ধোনি চেষ্টাও করেছিলেন। শেষ ওভারে ২টি ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিঙ্কু সিং হয়ে ওঠা উঠল না মাহির। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৩ রানে হারল চেন্নাই সুপার কিংস। সেই সঙ্গে ২০০৮ সালের পর প্রথম বার চিপকে সিএসকে-কে হারাল রাজস্থান।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে চিপকে ২০০৮ সালে শেষ বার জিতেছিল রাজস্থান রয়্যালস। সে বার ১০ রানে জিতেছিল তারা। তার পর থেকে ছ'টি ম্যাচ চিপকে খেললেও, সবকটিতে হেরেছে। ২০১০ সালে ২৩ রানে হেরেছিল। ২০১১ সালে ৮ উইকেটে হেরেছিল। ২০১২-তে আবার ৭ উইকেটে হেরেছিল। ২০১৩ সালে ৫ উইকেটে হারে রাজস্থান। আর ২০১৫-তে ১২ রানে হারে।
একমাত্র মুম্বই-ই চিপকে গিয়ে শেষ চার ম্যাচ জিতেছে। না হলে ধোনিদের ডেরায় তাদের হারানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছিল। ২০১৩ সালে পুণে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়া চিপকে ২৪ রানে জিতেছিল। এর বাইরে চেন্নাই সুপার কিংসকে আর কোনও টিম চিপকে গিয়ে এত দিন হারাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত রাজস্থান রয়্যালস বুধবার চিপকের মাঠে চেন্নাইকে ৩ রানে জয় পেল।
আরও পড়ুন: প্রতি ইনিংসে আমি শুরু থেকেই ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত থাকি- রবিচন্দ্রন অশ্বিন
টস জিতে চেন্নাই অধিনায়ক রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠান। দ্বিতীয় ওভারেই যশস্বী জয়সওয়াল আউট হয়ে যান। জস বাটলার এবং দেবদত্ত পাডিক্কাল মিলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন। সেই সময় মনে করা হয়েছিল, বড় রান তুলবে রাজস্থান। কিন্তু একই ওভার পাডিক্কাল এবং সঞ্জু স্যামসনকে ফিরিয়ে দিয়ে কিছুটা ধাক্কা দেন রবীন্দ্র জাদেজা। রানের গতি কিছুটা কমে যায় এর পর। রবিচন্দ্রন অশ্বিন প্রথম দিকে রান না পেলেও পরের দিকে রান করেন। ২২ বলে ৩০ রান করেন তিনি। ১৮ বলে ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন শিমরন হেতমায়ের। চেন্নাইয়ের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন আকাশ সিং, তুষার দেশপাণ্ডে এবং জাদেজা। একটি উইকেট নেন মইন আলি।
ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইয়ের ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় এ দিন ব্যর্থ হন। মাত্র ৮ রান করে আউট হয়ে যান। ১০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় চেন্নাই। গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও চেন্নাইকে ভরসা দেন অজিঙ্কা রাহানে। ১৯ বলে ৩১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। ৩৮ বলে ৫০ করেন ডেভন কনওয়ে। তাঁরা ৬৮ রানের ইনিংস গড়েন। এর পরেই হঠাৎ ভেঙে পড়তে শুরু করে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং অর্ডার। ১১৩ রানে ৬ উইকেট হারায় চেন্নাই। জয়ের জন্য যখন ৬৩ রান প্রয়োজন, সেখান থেকে চেন্নাইয়ের ভরসা হয়ে ওঠেন ধোনি এবং রবীন্দ্র জাদেজা। ব্যাট হাতে জাদেজা ১৫ বলে ২৫ করে অপরাজিত থেকেও জয় এনে দিতে পারলেন না চেন্নাইকে। ধোনি নিজে ১৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকলেন। কিন্তু শেষ বলে ৫ রানের জায়গায় হল মাত্র ১ রান। ম্যাচও জেতা হল না চেন্নাইয়ের। চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হিসেবে ধোনির ২০০তম ম্যাচে হারের দাগ লেগে থাকল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।