বোলাররাই বেকার! HT বাংলায় নিজের বানানো পিচকে সেরার তকমা ইডেনের কিউরেটরের

বিশ্বকাপের সময় অন্যতম সেরা পিচ ছিল কলকাতার। এখনও কি তাই? সুজন মুখোপাধ্যায় কিন্তু বুক ঠুকেই বলছেন, ভারতের শুধু নয়, গোটা বিশ্বের অন্যতম সেরা পিচ কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের। ১১ মে ক্রিকেটের নন্দন কাননে কলকাতায় শেষ হোম ম্যাচে মুখোমুখি হবে নাইট রাইডার্স ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে পিচ পরিদর্শনে দঃ আফ্রিকার ফ্যাফ ডুপ্লেসি। ছবি- পিটিআই

ইডেনে রাজস্থান ও পঞ্জাবের বিপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে বড় রান করেও হারতে হয়েছিল। আইপিএলের ম্যাচে এবারে বড় রান উঠছে অনেক ম্যাচেই। কিন্তু তাই বলে ২৬১ রান করেও কিনা তা ডিফেন্ড করা যাবে না, এও কি সম্ভব নাকি? এই প্রশ্নই উঠেছিল কলকাতা বনাম পঞ্জাব ম্যাচের পর। জনি বেয়ারস্টো, শশাঙ্ক সিংরা ভালো ব্যাটিং করেছিলেন, নাকি মিচেল স্টার্ক, আন্দ্রে রাসেলরা খারাপ বোলিং করেছেন? এই দুই প্রশ্নের মাঝেই উঠে আসে তৃতীয় প্রসঙ্গ, তা হল পিচের মান। স্টার্কের মতো বোলাররা বিপুল রান দেওয়ায় এই পিচ আদৌ স্পোর্টিং কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বোলাররা একদম পিচ থেকে সুবিধা না পেলে কীভাবে খেলা জমবে, এই নিয়ে তুলকালাম শুরু হয়। 

এরই মধ্যে গত ম্যাচে দিল্লির বিপক্ষে নাইট রাইডার্সের বোলাররা ছন্দে ফেরেন। দলকে জয় এনে দেন। এত দ্রুত ইডেনে পিচ বদলে গেল নাকি আগের ম্যাচগুলোয় কোথাও গিয়ে বোলারদেরও কিছু ক্ষেত্রে গাছাড়া ভাব দেখা গেছিল আইপিএলে? এরই মধ্যে ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় সরাসরি দাবি করলেন, বোলাররাই ভালো বল করেননি, সেই কারণেই ব্যর্থ হয়েছে তাঁরা। মুম্বইয়ের বিপক্ষে ম্যাচেও একইরকম পিচ পাবে কলকাতা, বোলাররা ভালো খেললে দিল্লি ম্য়াচের মতোই ফল আসবে।

HT বাংলাকে সাক্ষাৎকারে সুজন মুখোপাধ্যায় জানান,' ব্যাটসম্যানরা অনেক বেশি অত্যাধুনিক টেকনিক রপ্ত করেছে। আজ থেকে দুবছর আগে এতরকমের শট দেখেছেন? স্পিনাররাও তো উইকেট পাচ্ছে। ১২ বছর ধরে আমি পিচ করছি, ঠিক ঠাকই আছে। ব্যাটারদেরও মতো বোলারদেরও তো নতুন নতুন পদ্ধতি, স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আসতে হবে। খেলা ভালো হচ্ছে বলেই রানও উঠছে, দর্শকদেরও ভালো লাগছে বলে রোজ মাঠে আসছে'। 

দিল্লি ম্যাচের মতো উইকেট কি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষেও পাবে নাইটরা? HT বাংলার প্রশ্নের জবাবে ইডেনের পিচ কিউরেটর বলছেন, ‘ চেষ্টা করব, ১২ বছর ধরে তেমনই চেষ্টা করেছিল। বল যাতে বাউন্সও হয়, ব্যাটে যাতে ঠিক ঠাক বল আসে। আবার একটু একটু স্পিনও যাতে হয়। আইপিএল তৈরি হয়েছিল ক্রিকেটকে প্রমোট করার জন্য। আমাদের ওপর বোর্ডের নির্দেশ আছে নিরপেক্ষভাবে পিচ তৈরি করার। এবার কিছু সময় আবহাওয়ার কারণে সমস্যা হয়। কলকাতায় এত গরম পড়েছে, যে কখন জল দেব, কখন দেব না, সেটা বুঝতেই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে, তাই কখনও কখনও একটু এদিক ওদিক হয়ে যায়’।

বিশ্বকাপের সময় অন্যতম সেরা পিচ ছিল কলকাতার। এখনও কি তাই? সুজন মুখোপাধ্যায় কিন্তু বুক ঠুকেই বলছেন, ভারতের শুধু নয়, গোটা বিশ্বের অন্যতম সেরা পিচ কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের। ১১ মে ক্রিকেট নন্দন কাননে কলকাতায় শেষ হোম ম্যাচে মুখোমুখি হবে নাইট রাইডার্স ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।