মার্চের শুরুর দিকে দিদি নম্বর ওয়ানে খেলতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার ঠিক কদিন পরেই ১০ মার্চ তৃণমূলের জনগর্জন সভায় লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। বলা যায় একপ্রকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমানে তিনি জমিয়ে প্রচার করছেন। আর এদিন তার ফাঁকেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কী বললেন বাংলার দিদি নম্বর ওয়ান?
মমতাকে নিয়ে কী বললেন রচনা?
রাজনীতির ময়দানে একেবারেই নবাগতা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবুও প্রচারে এতটুকু ফাঁক রাখছেন না। এই কথাফাটা রোদেও তিনি হুগলির বিভিন্ন জায়গা ঘুরে প্রচার চালাচ্ছেন। আর তারই ফাঁকে এদিন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা ডাকেন।
আরও পড়ুন: খোলা পিঠ জুড়ে কবিতার লাইন, সাদা - লালের নকশি কাঁথার গাউনে প্রাচ্য - পাশ্চাত্য মেলালেন মনামী
শুক্রবার, ২৯ মার্চ হুগলির বলাগড় ব্লকের জিরাট কলোনির উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা ছিল। এদিন বিকেলে সেই সভা থেকেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' রাজ্য সরকার সবসময় আপনাদের কথা চিন্তা করে। ভাবে। একই সঙ্গে আপনারা এটাও জানেন যে ১০০ দিনের কাজের জন্য কেন্দ্রের তরফে যে টাকা আসার ছিল সেটা আসে না। কেন্দ্রীয় সরকার সে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। আবাস যোজনার ৪৬ লাখ ঘর তৈরি করার পর সেই কাজও বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে পয়লা এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্র সেই টাকা না দিলে দিদিই আপনাদের পয়লা মে থেকে সেই টাকা দেবেন।' এদিনই কথা বলতে গিয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা বলে ডাকেন।
রচনার কথার জবাবে কী বললেন লকেট চট্টোপাধ্যায়?
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই বলুন না কেন কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা পাঠাচ্ছে না আর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার থেকে সেই সমস্ত দায়িত্ব নেবেন, এই অভিযোগ মোটেই মানতে চান না লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি উল্টে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'আবাস যোজনার টাকা এসেছে। কিন্তু সেটা কাজের কাজে ব্যবহৃত হওয়ার বদলে তৃণমূল নেতাদের ঘরে ঢুকে গিয়েছে।'