৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে ফের একবার তা পিছিয়ে গিয়েছে। এই আবহে আগামী ১৮ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ডিএ মামলার সেই শুনানির আগে ১০ মার্চেই আসতে পারে একটি বড় খবর।
1/7 ৫ ফেব্রুয়ারি ডিএ মামলার শুনানি হল না সুপ্রিম কোর্টে। এই নিয়ে ১২তম বার পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ মার্চ ফের সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ মামলা উঠতে পারে। তাই সরস্বতী পুজোর আগে না হলেও হোলির আগে ডিএ নিয়ে সুখবরের আশায় বুক বাঁধছেন সরকারি কর্মীরা। তবে পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের কজলিস্ট প্রকাশিত হলে একেবারে নির্দিষ্টভাবে জানা যাবে যে কবে, কোন বেঞ্চে এবং কত নম্বরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মামলা উঠবে।
2/7 রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের ৬ নম্বর কোর্টের মামলার তালিকার ৬০ নম্বর সিরিয়ালে ছিল ডিএ মামলা। তবে গতকাল ৪০ সিরিয়াল পর্যন্ত মামলার শুনানি হয় সেই কোর্টে। এর আগে ১১ বার শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েও মামলাটি পিছিয়ে গিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। গতকাল দ্বাদশ বার সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে যায় এই মামলা।
3/7 এর আগে গত বছর ১ ডিসেম্বর মামলাটি দশম বারের মতো শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তবে সেদিনও মামলার শুনানি হয়নি। এরপর তিনমাসের দীর্ঘ অপেক্ষার পর ৫ ফেব্রুয়ারি ফের শীর্ষ আদালতে তালিকাভুক্ত হয়েছিল মামলাটি। তবে এদিনও মামলাটি পিছিয়ে যায়। এই আবহে জানানো হয়, সম্ভবত আগামী ১৮ মার্চ মামলাটি উঠতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। তবে এর আগে আগামী ১০ মার্চ ডিএ সংক্রান্ত বড় খবর পেতে পারেন সরকারি কর্মীরা।
4/7 জানা গিয়েছে, আগামী ১০ তারিখ রাজ্য কমিটির মিটিং ডাকা হচ্ছে সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফ থেকে। সেই বৈঠকে বকেয়া ডিএ-র দাবি জানানো সরকারি কর্মীরা তাঁদের আগামী দিনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করবেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ১৮ তারিখের শুনানির দিকেও থাকবে তাঁদের নজর। সেদিনও যদি মামলা পিছিয়ে যায়, তাহলে হয়ত সেই হোলির পরে মামলাটি উঠতে পারে শীর্ষ আদালতে।
5/7 উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারইমধ্যে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করেছিল তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন। সেই মামলার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য।
6/7 এরপর ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে প্রথমবারের মতো ডিএ মামলাটি উঠেছিল। এর পর থেকে একের পর এক তারিখ দেওয়া হলেও নানা কারণে সম্পূর্ণ শুনানি হয়নি। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া ডিএ না দেওয়ায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অবাননার মামলা হয়। তবে আপাতত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই মামলার শুনানি স্থগিত রয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে।
7/7 প্রসঙ্গত, বাংলায় ২০২০ সালে রাজ্য ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হওয়ার পরে ৩ শতাংশ ডিএ বেড়েছিল। এর পরে ২০২৩ সালের বাজেটের সময়ে আরও ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়। আর সম্প্রতি আরও এক দফায় চার শতাংশ ডিএ বাড়ায় মমতার সরকার। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ একাধিকবার বেড়ে ৫০ শতাংশের কাছে চলে গিয়েছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক বেড়েছে আরও অনেকটা। এর জেরে আলাদা আন্দোলন হচ্ছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।