কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে বিগত ৭৫ দিন ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই মঞ্চের ডাকে আপাতত দিল্লিতে ধরনায় বসেছেন ৫০০ সরকারি কর্মী। এরই মধ্যে সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে নির্দেশিকা জারি করা হল সরকাররে তরফে।
1/5 প্রসঙ্গত, গতকাল থেকে দিল্লিতে শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের দু'দিনের ধরনা কর্মসূচি। রাজ্যের ডিএ বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে দিল্লির দরবারে বাংলার ৫০০ সরকারি কর্মী। মনে করা হচ্ছে, দিল্লিতে ধরনায় যোগ দেওয়া সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষপ করতে পারে নবান্ন। এরই মধ্যে এবার ডিএ আন্দোলনকারীদের নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
2/5 প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। সেই ধর্মঘটের একমাস পার হয়ে গেলেও সব স্কুলের তরফ থেকে 'অনুপস্থিত' শিক্ষকদের তালিকা এখনও জমা হয়নি পর্ষদে। অনেক ডিআই এখনও সেই সব শিক্ষকদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করছেন। এই আবহে পর্ষদের তরফে আজ নির্দেশিকা জারি করা হল।
3/5 পর্ষদ জানিয়েছে, অপরিকল্পিত ভাবে এই অনুপস্থিত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের তালিকা জমা পড়ছে। এই পরিস্থিতি আগামিকা, ১২ এপ্রিল দুপুর ২টোর মধ্যে সব স্কুল থেকে অনুপস্থিত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের নামের তালিকা জমা পড়া চাই। উল্লেখ্য, সরকারের তরফে আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ধর্মঘটের দিন কর্মক্ষেত্রে না আসা কর্মীদের একদিনের বেতন কাটা এবং তাঁদের কর্মজীবনে একদিনের ছেদ পড়বে।
4/5 এদিকে ডিএ আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা শোকজ নোটিশ হাতে পেয়েও বিচলিত নন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, সেই শোকজ নোটিশের জবাব ডিআই-কে জমা দিতে গিয়ে মিষ্টিমুখ করেছেন বা আবির খেলেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ধর্মঘট করা মৌলিক অধিকার। এছাড়া ধর্মঘট করায় সার্ভিস রুল ভঙ্গ হয় না। তাই সরকারের বিজ্ঞপ্তি বেআইনি। এই পরিস্থিতি পালটা আইনি পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তাঁরা।
5/5 এদিকে এখনও পর্যন্ত ১০ মার্চের ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নথি সংগ্রহ না করতে পেরে স্বভাবতই বিরক্ত পর্ষদ। এর আগে পর্ষদের তরফেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল, শোকজ পাওয়া শিক্ষকরা তাদের জবাব সরাসরি পর্ষদে পাঠাবেন না। সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআই-দের সেই চিঠি জমা দিতে হবে। এদিকে ডিআই-দের ওপর দায়িত্ব ছিল অনুপস্থিক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্নীদের নামের তালিকা সংকলন করে তা পর্ষদে পাঠানো।