উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ ঝড়ের তাণ্ডবে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। সেই খবর পেয়ে রাতেই সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে গিয়ে ঝড়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। ওদিকে এক মৃতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের মাঝে বসে কথাও বলেন তিনি। রাত আড়াইটে পর্যন্ত ঘুরে দেখেন এলাকা।
1/5 রবিবার উত্তরবঙ্গে আচমকা ঝড়ে প্রাণ গিয়েছে ৪ জনের। টর্নেডোর মতো সেই ঝড়ে আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১০০ জন। এই খবর পেতেই রাতে বিশেষ বিমানে করে বাগডোগরা পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে জলপাইগুড়িতে গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করেন। রাত আড়াইটে পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ঝড়ের তাণ্ডব ঘুরে দেখেন। পরে গভীর রাতে হোটেলে যান মুখ্যমন্ত্রী।
2/5 গতকালকের ঝড়ে জলপাইগুড়ি , কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপরই মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা নির্দেশ দেন, 'যত দ্রুত সম্ভব বাড়িঘর তৈরি করতে হবে। যতক্ষণ বাড়িঘর তৈরি না হচ্ছে ততক্ষণ সবাইকে ত্রাণ শিবিরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। খাবার দিতে হবে সেখানে।'
3/5 তবে ভোটের আবহে নিজে মুখে কোনও ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেননি মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, 'প্রশাসন প্রশাসনের মতো কাজ করে যাবে। তবে যেহেতু ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে তাই সব কথা আমি বলতে পারি না। যা কথা বলার হয়ে গিয়েছে।' এর আগে বিমানবন্দরে মমতা বলেছিলেন, 'আমার কাছে মানুষের ভালো থাকাটাই শেষ কথা।'
4/5 মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, 'জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের মানুষেরা আজ যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছেন, সেই অবস্থায় একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো আমার কর্তব্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং প্রশাসন দিনরাত আহতদের সঙ্গে আছে, থাকবে।'
5/5 এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে একটি পোস্ট করা হয় রাতে। তাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করছেন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে লেখা হয়, 'বর্তমানে প্রবল ঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়িতে ছুটে গিয়েছেন শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করছেন। একজন সত্যিকারের জননেতা দিনে বা রাতে বিশ্রাম নেন না।'