ডেভিড ওয়ার্নারের থ্রো'টা যদি একটু নীচুতে আসত, তাহলে ম্যাচটা সুপার ওভারে গড়াত। দিল্লি ক্যাপিটালস-মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের শেষ বলটা দেখে অনেকেই সেরকম মনে করছন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও একই কথা বলতে থাকেন। বিশেষত বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডার কেন বলটা এক বাউন্সে ছোড়েননি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে থাকে। যদি কী কারণে মাটিতে একবার বাউন্স খাইয়ে বলটা ছোড়েননি এবং কেন অত উঁচুতে বল ছুড়েছেন, সেটার কারণ ব্যাখ্যা করলেন খোদ দিল্লির অধিনায়ক। আর তিনি যা ব্যাখ্যা করলেন, তা শুনে মনে হতে পারে যে ওয়ার্নারের মাথায় সম্ভবত ২০১৯ সালের একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে বেন স্টোকসের দৌড়ের স্মৃতি রয়ে গিয়েছে।
মঙ্গলবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ছয় উইকেটে হারের পর ওয়ার্নার জানান, পিচের যে দিক থেকে দৌড়ানোর কথা ছিল, সেটার বিপরীত দিক থেকে দৌড়াচ্ছিলেন টিম ডেভিড (স্ট্রাইকার এন্ডের দিকে দৌড়াচ্ছিলেন)। যদি বলটা মাটিতে বাউন্স করে ছুড়তেন, তাহলে ৬ ফুট ৫ ইঞ্চির ডেভিডের গায়ে বলটা লেগে যেত। সেক্ষেত্রে দিল্লির উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েলের কাছে বলটা যেত না। সেজন্য কিছুটা উঁচুতে বল ছোড়েন।
আরও পড়ুন: DC vs MI: উড়ন্ত বাংলার ছেলে! মুস্তাফিজুরের বলে ঝাঁপিয়ে অবিশ্বাস্য ক্যাচ পোড়েলের- ভিডিয়ো
ওয়ার্নার স্টাম্পের সমান উচ্চতায় বলটা ছোড়ার চেষ্টা করলেও আরও কিছুটা উপর উঠে যায়। বলটা উঁচুতে হওয়ায় যতক্ষণে অভিষেক পোড়েল স্টাম্প ভেঙে দেন, ততক্ষণ ক্রিজের মধ্যে ঢুকে গিয়েছেন ডেভিড। তার ফলে ম্যাচ জিতে যায় মুম্বই। যদি রান-আউট হয়ে যেত, তাহলে ম্যাচটা সুপার ওভারে গড়াত। কারণ শেষ বলে জয়ের জন্য শেষ বলে দু'রান দরকার ছিল মুম্বইয়ের। রান-আউট হয়ে গেলে ২০ ওভারের শেষে দু'বলের স্কোর সমান থাকত (১৭২ রান)। সুপার ওভারে গিয়ে জয়ের সুযোগ পেত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দল।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে স্টোকসের ঘটনাটি কী হয়েছিল?
চার বছর আগে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ৪৯.৪ ওভারে সেই ঘটনা ঘটেছিল। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য তিন বলে ন'রান দরকার ছিল। স্ট্রাইকে ছিলেন স্টোকস। ট্রেন্ট বোল্টের চতুর্থ বলটা ডিপ মিড-উইকেটের ঠেলে দু'রানের জন্য দৌড়েছিলেন। লক্ষ্যটা স্পষ্ট ছিল, নিজে স্ট্রাইকে থাকবেন। অন্যদিকে, দ্রুত ছুটে এসে বলটা ছুড়ে দেন কিউয়ি তারকা মার্টিন গাপ্টিল। মঙ্গলবার ডেভিড পিচের যে দিক দিয়ে দৌড়ান, ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালেও সেদিক দিয়েই দৌড়াচ্ছিলেন স্টোকস।
আরও পড়ুন: DC vs MI, IPL 2023: ফের নাটকীয় শেষ ওভার, প্রথম জয় মুম্বইয়ের, টানা চার ম্যাচে দিল্লির
কিন্তু গাপ্টিলের ছোড়া বলটা মাটিতে ড্রপ খেয়ে উইকেটের দিকে যখন আসছিল, তখন স্টোকসের গায়ে লেগে বাউন্ডারিতে চলে গিয়েছিল। ইংরেজ তারকা স্টোকস রান-আউট তো হয়নি। উলটে বাড়তি বাউন্ডারি পেয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে সেইসময় আম্পায়ার বড়সড় ভুল করেছিলেন। পাঁচ রানের জায়গায় ছয় রান দিয়েছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা (বলটা যখন স্টোকসের গায়ে লেগেছিল তখন দু'রান সম্পূর্ণ করেননি, তাই এক রানের সঙ্গে বাউন্ডারি যোগ হওয়া উচিত ছিল)। যে ভুলের কারণে সুপার ওভারে গড়িয়েছিল বিশ্বকাপ ফাইনাল। শেষপর্যন্ত বাউন্ডারি সংখ্যায় বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়েছিল কিউয়িদের। ধর্মসেনা ওই ভুলটা না করলে কিউয়িরা নির্ধারিত ১০০ ওভারেই বিশ্বকাপ জিতে যেতেন।
(IPL 2023: আইপিএল সংক্রান্ত যাবতীয় টাটকা খবর ও আপডেটের জন্য হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার স্পেশাল পেজে - ক্লিক করুন এখানে, তাহলেই প্রবেশ করবেন আইপিএলের দুনিয়ায়)
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।