শনিবার পুনেতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছেও হারতে হয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। এই নিয়ে এ বার আইপিএলে টানা চতুর্থ ম্যাচে হারল পাঁচ বারের আইপিএল জয়ী টিম। তবে মুম্বই সব সময়ই ধীরগতি শুরুটা করে। এর আগেও এমন পরিস্থিতিতে এসেছে। ২০১৫ সালেও একই অবস্থা ছিল মুম্বইয়ের। তারা সে বারও প্রথম চার ম্যাচ হেরেছিল। অথচ সে বছরই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বই। তবে এই বছর মুম্বই ছন্দে ফিরে ২০১৫ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে বলে মনে করেন না ভারতের প্রাক্তন তারকা অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান।
আইপিএল মরশুমের শুরুতে চার বা তার বেশি ম্যাচ হারের ঘটনা নতুন কিছু নয় মুম্বইয়ের কাছে। ২০১৪-তে তারা পাঁচটি ম্যাচ হেরেছিল। ২০০৮ এবং ২০১৫-তে প্রথম চারটি করে ম্যাচ হেরেছিল। তবে ২০১৫-তে প্রথম চারটি ম্যাচ হারলেও, শেষ ১০টি ম্যাচের মধ্যে ৮টিতেই জিতেছিল তারা। সেই সঙ্গে আইপিএলের পয়েন্ট টেবলে তারা দুইয়ে শেষ করেছিল। এবং সে বার আইপিএল চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল মুম্বই।
যাইহোক, পাঠান মনে করেন যে, মুম্বইয়ে জসপ্রীত বুমরাহকে সাহায্য করার জন্য বোলিং বিকল্পের অভাব রয়েছে। যার জেরে এই মরশুমে মুম্বইয়ের ২০১৫-এর মতো প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা কম।
স্টার স্পোর্টসে ক্রিকেট লাইভে তিনি দাবি করেছেন, ‘মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জানে কী ভাবে এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে ফিরে আসতে হয়। তারা অতীতে এটি করেছে। ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে। আইপিএল ২০১৫-তে তারা এ বারের মতো একই রকম পরিস্থিতির মধ্যে ছিল। তবে পিছন থেকে লড়াই শুরু করে শিরোপা জিতেছিল। কিন্তু সে সময়ে দলটি একটু ভিন্ন ছিল। এই বছর, মুম্বইয়ের কাছে এমন একজন বোলার নেই যে বুমরাহের সঙ্গে জুটি বাঁধতে পারবে। এটি অধিনায়কের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ।’
প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার অবশ্য চার ম্যাচেই মুম্বইয়ের ব্যাটিং পারফরম্যান্সে মুগ্ধ। তিনি বলেছেন, ‘এমআইয়ের ব্যাটিং কিন্তু বেশ ভালো। তরুণ তিলক বর্মা ভালো করছেন।সূর্যকুমার যাদবও প্রত্যাবর্তন করে বেশ ভালো ছন্দে রয়েছেন। ইশান কিষানও ভালো খেলছেন। রোহিত শর্মা, কায়রন পোলার্ডরাও টুর্নামেন্ট এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রান করবেন। কিন্তু মুম্বইয়ের বোলিং বিভাগ বেশ দুর্বল। বিশেষ করে পেস আক্রমণ।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।