কী অবিশ্বাস্য মিল! এরকমও কখনও হতে পারে? ৬৭ বছরের ব্যবধানে স্যামি গুলিয়েন এবং লোগান ভ্যান বিক যে ইতিহাস গড়েছেন, তা দেখে এমনটাই মনে করছেন নেটিজেনরা। কারণ ১৯৫৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে নিউজল্যান্ডের প্রথম জয় এনে দিয়েছিলেন গুলিয়েন। যিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়েও খেলেছিলেন। আর ৬৭ বছর পর নেদারল্যান্ডসের জার্সি পরে ঠিক সেই কাজটাই করলেন গুলিয়েনের নাতি লোগান। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারের প্রাথমিক রাউন্ডের ম্যাচে সুপার ওভারে ক্যারিবিয়ানদের শেষ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের প্রথম জয় ছিনিয়ে আনলেন তিনি।
মঙ্গলবার হারারেতে সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই চমকপ্রদ তথ্য শেয়ার করেছেন ক্রিকেট পরিসংখ্যানবিদ কৌস্তুভ গুডিপাটি। আর যে ম্যাচের পর সেই চমকপ্রদ তথ্য শেয়ার করেছেন কৌস্তুভ, সেই ম্যাচটা একেবারে রোমাঞ্চকর ছিল। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেটে ৩৭৪ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম উইকেটে ব্র্যান্ডন কিং এবং জনসন চার্লস ১০১ রানের যে জুটি গড়েন, তাতে ভর করেই বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন নিকোলাস পুরান।
যে সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটের গ্রাফ একেবারে তলানিতে ঠেকেছে, সেইসময় একা কুম্ভ হয়ে লড়াই করা পুরান মঙ্গলবার একটা ভালো সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেননি। মাত্র ৬৫ বলে ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন বাঁ-হাতি ব্যাটার। ন'টি চার এবং ছ'টি ছক্কা মারেন। শেষের দিকে ২৫ বলে ৪৬ রান করে যান কিমো পল। তাঁদের সৌজন্যে নেদারল্যান্ডসের উপর রানের বিশাল বোঝা চাপায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তাতে অবশ্য হতদ্যম হয়ে যাননি ডাচরা। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটাও দুর্দান্ত করেন। কিন্তু এত বড় তাড়া করার জন্য যে একটি বড় ইনিংসের দরকার ছিল, তা প্রথম চার ব্যাটার গড়ে তুলতে পারেননি। সেই দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নেন তেজা নিদামানুরু। ৭৬ বলে ১১১ রান করে নেদারল্যান্ডসের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখেন। তিনি যখন আউট হন, তখন চার ওভারে ৪৮ রান দরকার ছিল ডাচদের। হাতে ছিল তিন উইকেট। যা শেষ ওভারে দাঁড়ায় নয় রান। কিন্তু এক বলে এক রান বাকি থাকা অবস্থায় নেদারল্যান্ডসের শেষ উইকেট পড়ে যায়। আউট হয়ে যান লোগান। সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ।
আর সুপার ওভারে একেবারে বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন লোগান। জেসন হোল্ডারের ওভারে ৩০ রান তোলেন (৪, ৬, ৪, ৬, ৬, ৪)। তারপর বল হাতে মাত্র আট রান খরচ করেন। প্রথম বলে ছক্কা হজম করার পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে এক রান করে দেন। চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে উইকেট নিয়ে নেদারল্যান্ডসকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন লোগান। ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন। যিনি নির্ধারিত ৫০ ওভারে ১৪ বলে ২৮ রান করেন। নেন এক উইকেট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।