স্বাধীনতা দিবসে রঙিন পাগড়ি পরার ট্রেন্ড বজায় রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার তেরঙা পাগড়ি পরে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সঙ্গে সাদা কুর্তা এবং নীল জ্যাকেট পরেছেন।
(75 Years of Independence Live Updates: স্বাধীনতা দিবস উদযাপন, লালকেল্লা থেকে ভাষণ মোদীর)
লালকেল্লা থেকে মোদী কী কী বললেন?
- প্রধানমন্ত্রী মোদী: ভারত গণতন্ত্রের ধাত্রীভূমি। ভারত প্রমাণ করেছে যে ভারতের অপরিসীম ক্ষমতা রয়েছে। ৭৫ বছরের যাত্রায় অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।
- প্রধানমন্ত্রী মোদী: 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'-এর সময় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করেছি। ১৪ অগস্ট আমরা দেশভাগের ভয়াবহতার কথা স্মরণ করেছি। আজ দেশের সেই সমস্ত নাগরিকদের স্মরণ করার দিন, যাঁরা এই ৭৫ বছরে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অবদান রেখেছেন।
- প্রধানমন্ত্রী মোদী: আশা, আকাঙ্খার মধ্যে আমরা সকলের চেষ্টায় এখানে পৌঁছেছি। ২০১৪ সালে ভারতীয় নাগরিকরা যখন আমায় দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তখন আমি স্বাধীনতার পরে জন্মগ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি হয়েছিলাম, যিনি লালকেল্লা থেকে দেশবাসীর গুণগান করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
- প্রধানমন্ত্রী মোদী: আমরা যখন স্বাধীনতা অর্জন করি, তখন অনেক আমাদের উন্নয়নের গতিপথ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা জানতেন না যে এদেশের মানুষের মধ্যে আলাদা কিছু আছে। তাঁরা জানতেন না যে ভারতের মাটি বিশেষ।
আরও পড়ুন: Independence Day 2022: ১৫ অগস্ট, ভারত এবং জাপান, ৭৫+২ বছরের ইতিহাস, লিখলেন জাপানের বাঙালি
মোদীর পাগড়ি ফ্যাশন
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস-সহ অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানে পাগড়ি পরার ট্রেন্ড চালু করেছেন মোদী। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে যেমন উত্তরাখণ্ডের মুসৌরির ঐতিহ্যবাহী 'টোপি' (টুপি) পরেছিলেন মোদী। সেইসময় উত্তরাখণ্ডের শিল্পী ও দর্জিরা জানিয়েছিলেন, অনেকেই জানতেন মুসৌরির ঐতিহ্যবাহী ‘ব্রহ্মকমল’ টুপির বিষয়ে। আবার অনেকেই জানতেন না। ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে মোদীর মাথায় সেই টুপি দেখার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর ফোন আসছে।
‘ব্রহ্মকমল টোপি’-র জনক সমীর শুক্লা বলেছিলেন, ‘ব্রহ্মকমল ফুল এবং প্রকৃতির চারটি উপাদানকে তুলে ধরতে চারটি রঙিন স্ট্রাইপ যোগ করে রাজ্যের যুব প্রজন্মের কাছে এই টুপিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে চেয়েছিলাম আমরা। ব্রহ্মকমল ফুল তো কেদারনাথে মহাদেবকে দেওয়া হয়।’ সঙ্গে তিনি জানান, কয়েক বছর ধরে যে পরিশ্রম করেছেন, তা অবশেষে সাধারণ মানুষের স্বীকৃতি পাওয়ায় অত্যন্ত খুশি হয়েছেন তাঁরা।