সাধারণ বাজেটে কার্যত ব্রাত্য থেকে গেল রেল। কয়েকটি প্রকল্পের ঘোষণা করা হলেও পরিকাঠামো উন্নয়নে খুব একটা বেশি জোর দিলেন না অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বরং তেজসের ধাঁচে ১৫০টি বেসরকারি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ঘোষণা করলেন তিনি।
পাশাপাশি, চারটি স্টেশনের নতুন করে উন্নয়ন প্রকল্পে হাত দেবে রেল। সেই চারটি স্টেশনের নাম প্রকাশ করেননি অর্থমন্ত্রী। সেখানে রাজ্যের কোনও স্টেশনের নাম না থাকলে এবারের বাজেটে বাংলার ভাঁড়ার শূন্যই থাকবে।
আরও পড়ুন : Budget 2020: কোন কোন পণ্যের দাম বাড়ল, কোনগুলির দাম কমল
শনিবার সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'দুধ, মাংস ও মাছ-সহ পচনশীল পণ্যের ঝঞ্জাটহীন কোল্ড সাপ্লাই চেন গড়ে তোলার জন্য পিপিপি মডেলে কিষান রেল চালু করবে ভারতীয় রেল। পণ্যবাহী ও এক্সপ্রেস ট্রেনে রেফ্রিজারেটেড কোচ থাকবে।'
আরও পড়ুন : Budget 2020: বাজেটে পড়ুয়া ও চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্তি কী, দেখে নিন
এখনও অবশ্য এই পরিষেবা (কনকর) প্রদান করে রেল। সেজন্য ভর্তুকিও দেওয়া হয়। তবে পচনশীল পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হল রেফ্রিজারেটেড কন্টেনার সংযোগের অভাব ও ক্রমবর্ধমান শক্তি খরচ।
আরও পড়ুন Budget 2020- কর সংক্রান্ত অর্থমন্ত্রীর আট বড় ঘোষণা
অর্থমন্ত্রী জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটক কেন্দ্রগুলিকে যুক্ত করার জন্য তেজসের মতো ট্রেন চালু করা হবে। এছাড়াও ২০২৩ সালের মধ্যে মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে হাইস্পিড ট্রেন করিডরের কাজ শেষ হবে। বেঙ্গালুরু-চেন্নাই প্রকল্প নিয়েও কাজ হবে বলে জানান সীতারামন।
আরও পড়ুন :Budget 2020- নয়া করনীতিতে ছাড় না নিলে বাঁচাতে পারেন ৭৮ হাজার টাকা পর্যন্ত
পাশাপাশি, রেলের উন্নয়নে মোদী সরকারের কী কী অবদান রয়েছে তারও তালিকা তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'নিজের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের সেবা করছে ভারতীয় রেল। এই সরকার ক্ষমতায় আসার ১০০ দিনের মধ্যে ৫৫০টি স্টেশনে ওয়াই-ফাই পরিষেবা চালু হয়েছে। অরক্ষিত ক্রসিংও আর নেই। ২৭,০০০ কিলোমিটার রেল ট্র্যাকের বৈদ্যুতিকরণ হয়েছে। এটি খরচ কমানোর জন্য সাহায্য করবে।'
আরও পড়ুন : Budget 2020: 'ফাঁপা-পুনরাবৃত্তি-অসংলগ্ন', বাজেট নিয়ে কটাক্ষ রাহুলের
চলতি বাজেটে পরিবহন খাতে সবমিলিয়ে ১.৭ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাজেটের হিসেব অনুযায়ী, রেলের ভাঁড়ারে ৭২,২১৫.৬৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় ৬.১ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবর্ষে পরে অবশ্য রেলের বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছিল।
আরও পড়ুন : Budget 2020 : হতাশ শেয়ারবাজার, প্রায় হাজার পয়েন্ট পড়ল BSE
তবে গত বাজেটে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন থেকে আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো কার্যত অসম্ভব। গত বাজেটে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন থেকে ১.৪৩ ট্রিলিয়ন টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। গত নভেম্বর পর্যন্ত পণ্য পরিবহন বাবদ রেলের ৭১,৮০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। যা ওই সময় যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছিল, তার থেকে ১৯.৭২ শতাংশ কম। যাত্রী পরিবহন থেকেও আশানুরূপ টাকা ওঠেনি। ওই সময় পর্যন্ত যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছিল, তার থেকে ৫.৩৩ শতাংশ কম আয় হয়েছে রেলের।
আরও পড়ুন : Budget 2020: প্রতিরক্ষায় নামমাত্র বরাদ্দ, সংকটে সামরিক আধুনিকীকরণ
২০১৯-২০ সালে রেলের অপারেটিং রেশিয়ো ৯৫ শতাংশে নামিয়ে আনা লক্ষ্য ছিল রেলের। এবারের বাজেটে অপারেটিং রেশিয়োর লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে ৯৬.২ শতাংশ।
আরও পড়ুন : Budget 2020: ‘সিনেমার থেকে বেশি দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতা', বললেন হতাশ নুসরত জাহান